।। নিউজ ডেস্ক ।।
বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মহা সপ্তমী তিথি আজ। শাস্ত্রমতে মাঙ্গলিক নানা ক্রিয়া সম্পন্ন করে বুধবার সকালে মহা দুর্গাষষ্ঠী তিথিতে শ্রী শ্রী দেবী দুর্গা দেবীকে মর্তে আমন্ত্রণ ও অধিবাস সম্পন্ন হয়েছে।
মহা সপ্তমী তিথীর সকালে পূজা স্থলে কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান উদ্ভিদের সমন্বয়ে নবপত্রিকা প্রচলিত ভাষায় কলা বৌ প্রবেশের মধ্য দিয়ে দেবীর পূজা শুরু হয়। উল্লেখ্য, নবপত্রিকার নয়টি উদ্ভিদ আসলে দেবী দুর্গার নয়টি বিশেষ রূপের প্রতীকরূপে কল্পিত হয়। এই নয় দেবী হলেন রম্ভাধিষ্ঠাত্রী ব্রহ্মাণী, কচ্বাধিষ্ঠাত্রী কালিকা, হরিদ্রাধিষ্ঠাত্রী উমা, জয়ন্ত্যাধিষ্ঠাত্রী কার্তিকী, বিল্বাধিষ্ঠাত্রী শিবা, দাড়িম্বাধিষ্ঠাত্রী রক্তদন্তিকা, অশোকাধিষ্ঠাত্রী শোকরহিতা, মানাধিষ্ঠাত্রী চামুণ্ডা ও ধান্যাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী। এই নয় দেবী একত্রে ‘নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা’ নামে ‘নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ’ মন্ত্রে পূজিতা হবেন।
মহা সপ্তমীর এদিন মন্দির-মণ্ডপে শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী নবপত্রিকাকে স্নান করানোর পর নতুন শাড়ি পরিয়ে মূল পূজা স্থলে এনে দেবী দুর্গার ডান দিকে একটি কাঠের সিংহাসনে স্থাপন করা হবে। পূজা স্থলে নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে সহস্র ছিদ্র জলাধার দিয়ে মহাস্নান করানো হবে। এরপর সাজ-সজ্জা প্রদান পূর্বক ভোগ আরতি ও ভক্তবৃন্দের অঞ্জলি প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করার রীতি রয়েছে। পূজার অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গল আরতি।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম জেলায় এবার ৫২৯টি মন্ডপের দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।