আল সাবাহ:
উলিপুরে “বুড়ি তিস্তা বাঁচাও, উলিপুর বাঁচাও” আন্দোলনের দ্বিতীয় দফায় বুড়ি তিস্তা তীরবর্তী মেঠোপথ ধরে সহস্রাধিক মানুষ বাই সাইকেল র্যালী নিয়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা প্রদক্ষিণ করেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জেলার উলিপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পায়রা উড়িয়ে ব্যতিক্রমি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ হাড়ি, ভোরের কাগজ প্রতিবেদক তৈয়বুর রহমান, উলিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরদার, রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির উপজেলা সভাপতি আপন আলমগীর, পৌর কমিটির আহবায়ক আবুল হাসানাত রাজিব, যুগ্ম আহবায়ক মতলেবুর রহমান মন্জু প্রমূখ।
সকাল সাড়ে ১০ থেকে শুরু হওয়া র্যালী বুড়ি তিস্তা নদীর পাড় ঘেঁসে আঁকাবাকা মেঠোপথ দিয়ে উলিপুর পৌর এলাকা, থেতরাই ও দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন গ্রামের রাজনগন হাসানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা প্রদক্ষিণ করে বাই-সাইকেল র্যালী। এ সময় অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় মেঠোপথ জুড়ে। ব্যবিক্রমি এ র্যালীতে স্বস্তঃফূর্ত অংশ গ্রহন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সহশ্রাধিক মানুষ। নির্ধারিত এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃফূর্ত ভাবে নিজ নিজ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ব্যানার, ফেসটুন ও প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল উলিপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হয়। এ সময় শহীদ মিনার চত্বর লোকে লোকারন্য হয়। মিছিলটি থানা মোড় হয়ে বাজারের প্রধান সড়ক দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর দিয়ে অতিক্রম করার সময় রাস্তার দু’ধারে উৎসুক জনতা করতালি দিয়ে তাদেরকে অভিন্দন জানান।
উল্লেখ্য, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বুড়ি তিস্তা নদীর উজানের প্রবেশ মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮৮ সালে অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ নির্মান করে। তখন থেকে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় ধীরে ধীরে নদীটি মরে যেতে থাকে। এ সুযোগে এক শ্রেনির দখলদাররা অবৈধ পাকা স্থাপনা ও বিভিন্ন স্থানে মাটি ভরাট করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। ফলে বুড়িতিস্তা নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।