।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে ছেলে হত্যা মামলার দেড় মাসেও এজাহারভুক্ত আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চেয়েছেন বাবা। বুধবার (০৪ আগস্ট) সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব চিলমারীর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর কলেজ ছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত জোবায়ের হোসেন আমিন (১৯) উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের বাবা আব্দুল জলিল আমিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৯ জুলাই রাত ১টা হতে রাত ৩টার মধ্যে যে কোন সময় আমার সর্বকনিষ্ঠ পুত্র জোবায়ের হোসেন আমিন (১৯) কে হত্যা করে লাশ চিলমারী নৌবন্দরের রমনা ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ পল্টুনের নীচে ফেলে দেয়। পরদিন পুলিশ তার মহদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্ত শেষে আমার নিকট হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ্য করাসহ আরও ৬/৭ অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৬, জিআর নং- ৫২/২৪ (চিলঃ)।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয় চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সিআই মোঃ নাজমুল হককে। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এখন পর্যন্ত মামলার কোন আসামী গ্রেফতার করা হয় নাই।
আব্দুল জলিল আমিন আরও বলেন, আমার ছেলেকে গত ১৮ জুলাই রাত ১০টার সময় আমার বাড়ির সামন থেকে মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফিরা শেষে চিলমারী বন্দরের রমনা ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে জোবায়ের হোসেন আমিন (১৯) কে হত্যা করে লাশ চিলমারী নৌবন্দরের রমনা ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ পল্টুনের নীচে ফেলে দেয়। মামলার এজাহারে সুনির্দিষ্টভাবে আসামীদের নাম থাকা সত্বেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার করছেন না। আমি অতি দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আপনাদের মাধ্যমে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার কাছে জোড় দাবী জানাচ্ছি।
এ সময় তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার সঠিক কোন নজরদারী নেই এবং অবহেলা রয়েছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০৪/২৪