।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে একটি স্কুলের সংস্কারমূলক শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিসহ প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসুচি করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রধান শিক্ষককে ভুয়া ভুয়া বলে দ্রুত পদত্যাগের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে পদত্যাগ করবেন বলে একটি লিখিত দিয়েছেন উক্ত প্রধান শিক্ষক। তবে একটি বহিরাগত শক্তি নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য এটি করাচ্ছেন বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের।
জানান গেছে, বিভিন্ন দাবি দাওয়াসহ প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে গত কয়েকদিন থেকে চিলমারীতে চলছে টানটান উত্তেজনা। ঘটেছে হামলা ও ভাংচুর। ঘটনাটি শরিফের হাট এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়মসহ প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ এর পদত্যাগকে কেন্দ্র করে। উক্ত বিদ্যালয়ের অব্যস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার প্রতিবাদে এবং প্রতিষ্ঠান সংস্কার মূলক শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন এরই পেক্ষিতে সোমবার (০২ আগস্ট) বহিরাগত তাজরুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত করলে মুহূর্তে উক্ত ব্যাক্তিসহ প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা এবং প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন এবং ভাংচুর করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মাধ্যমিক অফিসার ঘটনাস্থলে যান এবং প্রায় ঘণ্টা ব্যাপি আলোচনা করেন। পরে প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত বক্তব্য প্রধান করেন, যে তিনি দোষী প্রমানিত হলে সেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। এসময় অভিযুক্ত তাজরুলকে ধাওয়া করেন এবং হামলা করেন কতিপয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) বিদ্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার না যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা চত্তরে আসেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস ঘেরাও করে বিভিন্ন শ্লোগান দেন (এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকাল ৩.৩০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপজেলা চত্তরে অবস্থান করতেছিল)।
সংস্কার চায় একটি যৌক্তিক কিন্তু পদত্যাগটি যৌক্তিক নয় জানিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ বলেন, একটি বহিরাগত মহল অর্থাৎ বিগত কমিটির কিছু সদস্য টাকা পয়সা দিলে একটি গ্রুপ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে বিশেষ পাহারায় এসব করাচ্ছেন।
কথা হলে মাধ্যমিক অফিসার মো: তাহের আলী জানান, আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম বিষয়টি ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনা করে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিনহাজুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০৩/২৪