।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
দেশ চলমান বন্যা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। চারদিকে থৈ থৈ পানিতে টিউবওয়েলগুলো ডুবে থাকায় বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। দূষিত পানি পান করে মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই এই সময় দূষিত পানিকে বিশুদ্ধ করার উপায় জানাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বন্যার দূষিত পানিকে বিশুদ্ধ করার বেশ কিছু উপায়:-
সৌর পদ্ধতি
তীব্র সূর্যের আলোয় ছয় ঘণ্টা রেখে দিলে পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এতে পানিতে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যের তাপে বিশুদ্ধ করা পানি ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেখে দেওয়া উচিত নয়। যেসব জায়গায় পানি পরিশোধন করার অন্য কোনো উপায় নেই সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃষ্টির পানি
বৃষ্টি শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর থেকে পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করে রাখলে পানি পানের উপযোগী হয়। এ ক্ষেত্রে আকাশ থেকে সরাসরি পড়া বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে। বাড়ির ছাদ বেয়ে পড়া বা গাছের পাতা ছুঁয়ে পড়া বৃষ্টির পানির সঙ্গে নানারকম জীবাণু মিশে থাকে।
পটাশ বা ফিটকিরি
এই পদ্ধতিতে বড় একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেখানে পরিমাণমতো ফিটকিরি মিশিয়ে দুই-তিন ঘন্টা রেখে দিলে ভেতরে থাকা ময়লাগুলো তলানিতে পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পাত্রের ওপর থেকে শোধিত পানি সংগ্রহ করে তলানির পানি ফেলে দিতে হবে।’
ক্লোরিন ট্যাবলেট
বন্যাদুর্গত এলাকায় সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি পরিশোধন করা। এই ট্যাবলেট জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। বাজারে ক্লোরিন ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে খুব সহজে অল্প সময়ে বেশি পানি বিশুদ্ধ করা যায়। প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি ট্যাবলেট গুলিয়ে রেখে দিলে এক ঘণ্টা পর বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। ব্লিচিং পাউডার ১০ লিটার পানির মধ্যে দিতে হয় এবং ৩০ মিনিট পর ওপরের পানি আরেকটি পাত্রে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে হয়।
আয়োডিন
এক লিটার পানিতে দুই শতাংশ আয়োডিনের দ্রবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলেও পানি বিশুদ্ধ হয়। তবে এই পদ্ধতি দক্ষ মানুষ ছাড়া করা যাবে না। কারণ আয়োডিনের মাত্রা ঠিক না থাকলে পানি বিশুদ্ধ হবে না। আয়োডিন পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করা পানি একটানা তিন সপ্তাহের বেশি সেবন করা যাবে না।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ।