মোঃ আতিক মেসবাহ লগ্ন, দলদলিয়া, উলিপুরঃ
উলিপুরের দলদলিয়া ইউনিয়নের তিনটি পরিবারের সব কিছু আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। গত বুধবার রাত ১ টা ৩০ মিনিটে ইউনিয়নের কর্পূরা গ্রামের বাধের রাস্তা সংলগ্ন ওসমান আলী (৫২), তার ছোট ভাই ওমর আলী (৪৫) ও আরেক ভাই রুস্তম আলীর (৩৭) বাড়িতে আগুন লাগে।আগুনের উৎপত্তি কিভাবে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। মধ্য রাতে হঠাৎ একটি ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে বাড়ির ৬টি ঘরসহ সবকিছু পুড়ে যায়। প্রায় পনেরো লাখ টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে নিঃস্ব হয়ে যায় পুরো পরিবার। প্রায় ১ লাখ টাকা দামের ছয়টি গরু এবং পাঁচটি ছাগল পুড়েছে যায়। তিনটি পরিবারে মোট ১৭ জন সদস্যের মধ্যে এখন শুধু হাহাকার ও আহাজারী চলছে। খবর পেয়ে উলিপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে শেষ মহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ক্ষতিগ্রস্থ ওসমান আলী, ওমর আলী ও রোস্তম আলী তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে কর্পূরা মোজাহিদ পাড়ায় বাঁধের রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্থ ওসমান আলী হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, আমার ৪ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য গরু পালন করছিলাম, আমার সব শেষ হয়ে গেল। তিনি একজন শুটকি বিক্রেতা। তার তিনটি মেয়ে এস এস সি পাস করেছে এবং আরেক জন এখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। তাদের লেখাপড়ার সব বই এমনকি এসএসসি পাস সার্টিফিকেটও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তার এখন পড়ার মত কোনো পরিধান নেই, খাওয়ার মত নেই কোনো খাদ্য। এমন অবস্থা বাকি দুই ভাইয়েরও।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা ও দলদলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান মুন্সি নিঃস্ব হয়ে যাওয়া পরিবারের মাঝে চাল কম্বল এবং পরিবারের সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেন। কদমতলা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খাবার প্রদান করা হয়। উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুবুল ইসলাম শাহিন – এর উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।