।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
বিশ্বজুড়ে এমপক্স হিসেবে পরিচিত মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ, করোনার পর যা নতুন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। তবে এমপক্স করোনার মতো ভয়ানক মহামারির রূপ নেবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, এই ভাইরাস অজানা নয়, এটি সম্পর্কে সবকিছুই মোটামুটি জানা। এর অর্থ হলো ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ডব্লিউএইচও-এর ইউরোপীয় পরিচালক হ্যানস ক্লুগ মঙ্গলবার জানান, এমপক্স নিয়ে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং ক্লেড ১বি নামের ভাইরাসটির ধরন নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
হান্স ক্লুজ বলেন, ‘এমপক্স করোনার মতো ভয়াবহ রূপ নেবে না। কারণ এমপক্স ভাইরাসের বিস্তার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তা আমরা এরইমধ্যে জেনেছি। আমরা সবাই একসাথে এ ভাইরাস মোকাবেলা করতে পারি।’
ক্লুজ আরও জানান, নতুন ক্লেড ওয়ান ভ্যারিয়েন্টর ওপর নজরদারি ইউরোপকে আরও ভাল জনস্বাস্থ্য পরামর্শ এবং কম গুরুতর ক্লেড টু ভ্যারিয়েন্টের ওপর নজরদারির সুযোগ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় অঞ্চলে এখন প্রতি মাসে ক্লেড টু এমপক্স ভ্যারিয়েন্টের প্রায় ১০০ নতুন সংক্রমণের তথ্য জানা যাচ্ছে।
এ মুহূর্তে এমপক্স ভাইরাসের কয়েকটি ধরনে সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ধরন সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। ক্লেড ১বি নামের ধরনটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শনাক্ত হয়।
আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া। আফ্রিকার বাইরে শনাক্ত হয়েছে সুইডেন, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে।