।। নিউজ ডেস্ক ।।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় হলরুমে এই সেশনের আয়োজন করে যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন ইয়ুথ এনগেজমেন্ট ফর সাসটেইনেবিলিটি (ইয়েস), বাংলাদেশ।
বে-সরকারী সংস্থা আর্টিকেল-১৯ এর আর্থিক-কারিগরি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় বর্তমান বাংলাদেশের যুব সমাজের প্রকৃত চিত্র, নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের জবাবদিহিতামূলক ইন্টারজেনারেশন ডায়লগ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম।
সেশনে ইয়েস বাংলাদেশ এর কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি কে.এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইয়েস বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোঃ তাওহীদ-উল-ইসলাম সরকার। এসময় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আলী আর রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান ,জেলা তথ্য অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী, জেলা জজ আদালতের আইনজীবী ও সনাক সভাপতি এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, সমাজকর্মী ও সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর সূর্য,উলিপুর ডট কম এর সনিয়র রিপোটার অমিত চন্দ্র পাল প্রমুখ।
এছাড়া সেশনে ইয়েস বাংলাদেশসহ অন্যান্য যুব সংগঠনের ২৫ জন যুব নারী-পুরুষ সদস্য ও ভলান্টিয়ার অংশগ্রহণ করেন।
ইন্টারজেনারেশন ডায়লগ সেশনে বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ও করনীয়, গুজব, মাদক প্রতিরোধ, সমাজিক সমস্যা নিয়ে সমস্যা ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। মুক্ত আলোচনায় যুব সদস্যরা সরকারি বিভিন্ন সেবা, তথ্য অধিকার আইন, শিশু আইন বিষয়ে অতিথিদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন ও সুপারিশ তুলে ধরেন।
এসময় যুবদের প্রশ্নে মাদক বন্ধে পুলিশের ভূমিকা বিষয়ে পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মাদক বন্ধে পুলিশের শক্ত অবস্থান। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, যুবদের আরও সক্রিয় হতে হবে, মাদকের রুট চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে হবে।
তিনি তার বক্তব্যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যুবদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দেয়ার জোড়ালো প্রসংসা করেন একই সাথে পুলিশকে নিয়ে সকলের মাঝে পজেটিভ ধারনা তৈরির আহবান জানান।
সেশনে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা যুবদের আয়োজনে এমন জবাবদিহিতামূলক আয়োজনের প্রসংশা করেন এবং এমন আয়োজন আরো বেশি বেশি করা তাগিদ করেন।
উল্লেখ্য যে, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট ফর সাসটেইনেবিলিটি (ইয়েস) বাংলাদেশ বর্তমানে সারাদেশে শিশু অধিকার ও সুরক্ষা, জেন্ডার সমতা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।