।। নিউজ ডেস্ক ।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অসহযোগ আন্দোলনের ১ম দিন রোববার (৪ আগস্ট) শান্তির শহর কুড়িগ্রামে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সংবাদ যাতে সংগ্রহ করতে না পারে এজন্য জেলার সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের নতুন বাজারের ঘোড়া চত্বরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় কুড়িগ্রামের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে এক-দুইজন করে সেখানে ছাত্ররা জমায়েত হতে থাকে । সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি গ্রুপ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বিছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগের হামলায় একজন সাংবাদিকসহ কয়েকজন ক্যামেরা পারসন হামলা শিকার হন।
এরপর সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে শহরের ঘোষপাড়ার দিকে আসলে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানেও সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আ.লীগ সমর্থিত কর্মীরা।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাপলা চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়ে এবং জেলা আ’লীগ কার্যালয়ের আগুন দেয় ও পরে জেলা পরিষদ অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় জেলা আ’লীগ সভাপতি মো:জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, আ’লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীসহ দুই পুলিশ সদস্য ও উভয়পক্ষের ৪৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদেরকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আশংকাজনক দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় বিকাল ৩ টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি অংশ নেয়। এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও জেলার ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও নাগেশ্বরীতে আন্দোলনকারীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।