।। নিউজ ডেস্ক ।।
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রবিবার (০৪ আগস্ট) শুরু হচ্ছে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি। শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
এই কর্মসূচি ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের’ আহ্বান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের সব জেলা, উপজেলা, পাড়া, মহল্লায় বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচি, আন্দোলন চলাকালে হওয়া সব হত্যার বিচার ও সব রাজবন্দীকে মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়ার দাবি করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বর্তমান সরকার পদত্যাগের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঘোষণাপত্রে তারা বলেন-
✷ ‘যেহেতু, বর্তমান সরকারের নির্দেশে নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, নারী-শিশু-ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক কেউ এ গণহত্যা থেকে রেহাই পাননি;
✷ যেহেতু, সরকার এ হত্যাযজ্ঞের বিচার করার পরিবর্তে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে;
✷ যেহেতু, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাযজ্ঞ সংঘটন করেছে;
✷ যেহেতু, ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-মজুরসহ আপামর জনগণ মনে করছে এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ বিচার এবং তদন্ত সম্ভব নয়;
✷ সেহেতু, আমরা বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করছি।
একইসাথে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সরকার গঠনের দাবী জানাচ্ছি।’
এসময় সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, ‘এই সরকার মানুষ খুন করেছে, লাশও গুম করেছে। যারা খুন করেছে তারা কীভাবে সেই খুনের বিচার করবে? আমরা এই সরকারের কাছে খুনের বিচার প্রত্যাশা করি না। সর্বস্তরের মানুষকে খুন, গুম ও গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। একদিকে গ্রেফতার- নির্যাতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে আমাদের সংলাপের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাংলাদেশের জনগণ নেমে এসেছিল। আমরা এই জনগণকে মুক্ত করতে এখন রাস্তায় নেমেছি। আমরা আজকে এক দফার দাবিতে এখানে হাজির হয়েছি। আমরা জীবনের নিরাপত্তা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজে এক দফার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। সরকার এখন বলছে আলোচনার জন্য গণভবনের দরজা খোলা রয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি আগেই বুঝে গিয়েছেন যে গণভবনের দরজা খোলা রাখতেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পদত্যাগ দিয়ে তাকে কোনো এক্সিট রুট দিতে চাই না। তাকে পদত্যাগও করতে হবে, বিচারের আওতায়ও আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা না, মন্ত্রীপরিষদ, সরকার সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। এবং এই যে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা এটাকে বিলোপ করতে হবে।’
সূত্র: নয়াদিগন্ত।