।। নিউজ ডেস্ক ।।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় আটক সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত করে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আন্দোলনের সময় সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেফতার যারা হয়েছে তাদের মধ্যে যারা ছাত্র ছিল, তাদের সবাইকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাথে সাথে আমি এও নির্দেশ দিয়েছি, এর ভেতরে যারা নিরীহ আছে, তাদের সবাইকে এবং ছাত্র যারা অর্থাৎ একেবারেই যারা খুনের সাথে জড়িত না, এ সব ধ্বংসাত্মক কাজের সাথে জড়িত নয়, তাদের মুক্তি দেওয়া শুরু করুন এবং সেটা শুরু হয়ে যাচ্ছে। যারা যারা দোষী, ঠিক তাদের চিহ্নিত করে তারা থাকবে (জেলে) এবং বাকিরা যাতে মুক্তি পায় সে ব্যবস্থা কিন্তু আমরা করে দিয়েছি।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কিন্তু কারও দাবির অপেক্ষা রাখিনি। আমি চাই যারা এর সঙ্গে জড়িত, সে যেই হোক সে পুলিশই হোক বা অন্য যে কেউই হোক, যারা অস্ত্রধারী, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায়, তাদের সকলেরই বিচার হোক, তদন্ত হোক। শুধু ঢাকা নয়, যতগুলো জায়গায় এ সব ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ হয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে যথাযথ বিচার হবে। এজন্য আমি যে জুডিশিয়াল কমিশন করেছিলাম সেখানে আরও দুজন জাজ নিয়োগ দিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন করেছি। তাদের কর্মপরিধিও বাড়িয়ে দিয়েছি সময়ও বাড়িয়ে দিয়েছি। যাতে যথাযথভাবে এটা তদন্ত হয়।
আমি চাই এ ধরনের অন্যায় হত্যাকাণ্ডের যাতে যথাযথ তদন্ত হয়, এর বিচার হবে। আমি স্পষ্ট বলি হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই বিচার হবে। যারা জড়িত তদন্ত করেই তাদের বের করা হবে। যারা অস্ত্রধারী, যেমন রংপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। যে পুলিশ দায়ী সেই পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এবং তার বিচার হবে, যুক্ত করেন তিনি।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।