।। নিউজ ডেস্ক ।।
কোটা আন্দোলন নিয়ে সহিংসতার পর বন্ধ করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ৩১ জুলাই ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে। হাজির হয়ে ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকবে। কিন্তু ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজে এসব প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় রয়েছেন। এ নিয়ে সমালোচনা রয়েছে নাগরিকদের মধ্যে।
সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে জুনাইদ আহমেদ পলক শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমকে জানান, গুজব প্রতিরোধে মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি আরও জানান, তিনিসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে।
জানা যায়, ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর পরপরই প্রতিমন্ত্রী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দেওয়া শুরু করেন। তিনি প্রতিনিয়তই নিজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তথ্য নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে আসছেন। এছাড়া বিভিন্ন আয়োজনের সরাসরি সম্প্রচারও করছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামেও তিনি সক্রিয় রয়েছেন। এ ছাড়া তার ভেরিফায়েড টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকেও তিনি পোস্ট করছেন।
এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন মানলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে দেশে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ফেসবুকেরমতো যেসব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রয়েছে, সেগুলো মূলধারার গণমাধ্যম ব্যবহার করতে পারলে গুজব ঠেকাতে সহায়ক হতো কি না, তা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে তারা ভাবছেন।
সূত্রঃ ইত্তেফাক।