।। নিউজ ডেস্ক ।।
নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের রুইয়ারপাড় এলাকার বটতলা এলাকার বাসিন্দা মর্জিনা বেগম (৪৬)। স্বামী-সন্তানসহ থাকেন মডেল কলেজ সংলগ্ন অন্যের জমিতে। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে ভাঙ্গাচোরা দুটি টিনের চালার ঘর। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। রাতের বেলা অতি কষ্টে রাত কাটাতে হয় তাদেরকে। স্বামী দুলাল মিয়া দুলু কখনও ভ্যান কখনও বাই সাইকেলে ফেরি করে আচার ও আসক্রিম বিক্রি করে সংসার চালান অতি কষ্টে।
সারাদিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আচার কিংবা আউসক্রিম বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে চলে সংসারের খরচ। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন আর এক ছেলেকেও বিয়ে দিয়ে টানাপরেনের মধ্যে চলছে সংসার। ছেলেটা বাবার কাজে সহযোগিতা করেন। এর বাইরে কোনো আয় নেই তাদের। আর মর্জিনা বেগম এক পা হারিয়ে স্ক্রাচে ভর করে বহু কষ্টে চলাফেরা করেন।
মর্জিনা বেগম জানায় প্রায় ৫ বছর আগে রিকশায় চরে যাতায়াতের সময় মাইক্রো বাসের ধাক্কায় বা পা ভেঙ্গে যায় তার। প্রায় দুই মাস ধরে চিকিৎসা করলেও কোনো উন্নতি না হয়ে উল্টো ইনফেকশন হয় তার পায়ে। নিরুপায় হয়ে হাঁটুর উপরে কেটে ফেলতে হয় বাঁ পা। এ অবস্থায় পঙ্গুত্ব নিয়ে এক পা স্ক্রাচে ভর করেই অনেক কষ্টে সংসারের যাবতীয় কাজ করেন তিনি। এদিক-সেদিক যাওয়া আসা কিংবা অন্যান্য জরুরি কাজ সারেন অন্যের সহযোগিতায়।
অভাবের তারণায় একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্যও নেই অসহায় ও হতদরিদ্র এই পরিবারের। এ অবস্থায় একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন তারা।
মর্জিনা বেগম বলেন, এক পাও নাই। অনেক কষ্ট করি চলাফেরা করা লাগে। নামাজ পড়বের পাইনা। কষ্ট হয়। কাইও একটা হুইল চেয়ার দিলে অনেক উপকার হইল হয়।
স্বামী দুলাল মিয়া দুলাল বলেন, যে কাজ করি সারাদিনে যে কয়টা টাহা কামাই করি কোনোমতে সংসার চলে। ঘর বাড়ি জমিজমা কিছু নেই। অভাবের সংসার। বউয়ের একটা হুইল চেয়ার কিনি দেওয়ার সাধ্য নাই। বউয়ের এমন কষ্ট দেহি নিজেরও খুব কষ্ট হয়। এইজন্যে একটা হুইল চেয়ার পাইলে অনেক খুশি হইলাম হয়।