।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও আবারও বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। বাড়িতে পানি, উঠানে পানি, চারদিকে পানি আর পানি। দীর্ঘদিন থেকে পানিবন্দি থাকায় মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। খাবারের জন্য ছুটছে বন্যার্ত মানুষ উপজেলা চত্তর থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি। ত্রাণের একটি স্লিপের জন্য প্রতিদিন উপজেলা চত্তরে বাড়ছে মানুষের ঢল।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢল পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার উপরে উঠে এবং প্লাবিত হয় চিলমারী। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমতে না কমতেই আবারও বৃদ্ধি শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্রের পানি ফলে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার্ত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট, রয়েছে চিকিৎসা সেবারও সংকট।
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে পানিবন্দি থাকায় বানভাসী মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। ত্রাণের জন্য বানভাসী মানুষ ছুইছে চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি। শুধু তাই নয় ত্রাণের চালের একটি স্লিপের আশায় প্রতিদিন উপজেলা চত্তরের মানুষের ঢল বাড়ছে।
ত্রাণের সংকট রয়েছে জানিয়ে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি এর মধ্যে ৬ শত পরিবার ত্রাণ পেয়েছে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন থেকে মানুষজন পানিবন্দি এবং হাতে কাজ না থাকায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে হাহাকার।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে পানিবন্দি থাকায় মানুষের মাঝে খাবার সংকট দেখা দেয়ায় বানভাসী মানুষজন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বানভাসী মানুষ খাবারের সংকট রয়েছে স্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, বন্যার পানিতে দীর্ঘদিন থেকে চিলমারী মানুষ পানিবন্দি থাকায় দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষজন, ফলে প্রতিদিন ত্রাণের আশায় উপজেলা পরিষদে বন্যার্ত মানুষের ভির বাড়ছে, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বন্যার্ত মানুষের সহায়তার জন্য।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো: মোশাররফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১১ মে. টন চাল ও ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তা বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তবে বানভাসী মানুষজন অভিযোগ করে বলেন, ত্রাণ বা সহায়তা সঠিক ভাবে বিতরণ হচ্ছেনা এবং বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/১২/২৪