।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। ফলে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। গত এক সপ্তাহে জেলায় নদ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ৪৫৮ পরিবার এবং তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যার কারণে ৪৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩০৫টি এবং স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের সংখ্যা ১৩৭টি। বন্যার্তদের জন্য নতুন করেও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৪৫ মে. টন চাল, নগদ ১১ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ৩৬০ প্যাকেট শুকনা খাবার।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন বলেন, বন্যায় ২৯৫টি বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ২৭৬টিতে পাঠদান বন্ধ। এছাড়া চর গুজিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব দইখাওয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর শাখাহাতি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আর তিনটি স্কুল ভাঙ্গনের কারণে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আর ২৩টি বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, বন্যার কারণে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ মিলে ১২৮টিতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৯টিতে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জেলা প্রশাসকের দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের বরাতে জানান, জেলার ৯ উপজেলা ৫৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৬৬২ দশমিক ৭৫ বর্গ কি: মিটার। বন্যা আক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা ৩৭ হাজার ১০০টি। নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ৪৫৮টি পরিবার। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টও জমির। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত রয়েছে ২ হাজার ২৮জন।