।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
বন্যার পানিতে ডুবে আছে চিলমারীর বিভিন্ন অঞ্চল। তলিয়ে গেছে আশ্রয়ণ ও হরিজন পল্লী। প্রায় ১ সপ্তাহ থেকে পানিবন্দি থাকায় আশ্রয়ণবাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ, বাড়ছে দুশ্চিন্তা। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের সাথে ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা থেকেও রয়েছে বঞ্চিত তারা। সরকারি ঘর পেলেও অন্যান্য সকল সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় হতাশায় বাসীন্দারা।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে চিলমারী ডুবতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার জোড়গাছ বাঁধ এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো। ১৫টি পরিবারের জন্য ১৫ টি ঘর নির্মাণ করা হলেও নির্মাণে অনিয়মসহ নিচু হওয়ায় আশ্রয়ণবাসীরা বিপাকে রয়েছেন। এছাড়াও নির্মানের সময় নিয়ম অনুযায়ী উঁচু না করায় বন্যা আসতে না আসতেই তলিয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
এদিকে একই অবস্থা উপজেলা সদর থানাহাট নালারপাড় এলাকায় গড়ে উঠা হরিজনদের জন্য হরিজন পল্লী। সেটিও দীর্ঘদিন পানিতে রয়েছে তলিয়ে। একদিকে দীর্ঘদিন থেকে পানিতে অপরদিকে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা, বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসীন্দারা জানান, প্রায় ১ সপ্তাহের বেশি সময় থেকে তারা পানিবন্দি অথচ কেউ তাদের খবর নেয়নি। জোড়গাছ বাঁধ এলাকার আশ্রয়ণের বাসীন্দা আবুল, সৈয়দ, রুপালী বলেন, হাতে কোন কাম কাজ নেই বন্যার কারণে কোথায় বের হওয়ারও সুযোগ নেই কেউ ঘরে আবার কেউ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটঁছে হামার।
তারা আরও জানান, পানিবন্দি আছি কেউ আসলো না, আমাদের খরব নিতে। খুব কষ্টে দিন পার করছি মন্তব্য করে আশ্রয় নেওয়া বেদেলা, মোরশেদাসহ অনেকেই বলেন, ঘরগুলো নিচু হওয়ায় বন্যা শুরু হতেই তলিয়ে গেছে আর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় আরও বেশি বিপদ হইছে। তারা আরও জানান, প্রায় ১সপ্তাহ থেকে পানিবন্দি, ঘরে থাকা খাবার ও কিছু ত্রাণ সহায়তা শেষে হয়ে গেছে এহন কেমনে চলবো।
হরিজন পল্লীর আশ্রয় নেওয়া বাসীন্দারা জানান, সরকার আমাদের জন্য সুন্দর ঘর দিল কিন্তু সঠিক ভাবে কাজ আর উঁচু করাসহ বের হওয়ায়র রাস্তা করে না দেয়ায় পারিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি নির্মাণের পর থেকে মাঠটি নিচু হওয়ায় আশ্রয় নিতে পারছেনা বন্যার্ত মানুষজন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশ্রয় নেওয়া বাসীন্দাদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, আমরা দ্রুত পানিবন্দি মানুষের সহায়তার ব্যবস্থা করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আশ্রয়ণ ও হরিজন পল্লীতে বসবাসকারীদের জন্য ইতি মধ্যে ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/১০/২৪