।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। পানি বৃদ্ধির ফলে বাড়িঘরসহ তলিয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানিতে মাঠসহ বিদ্যালয়ে পানি উঠায় ইতোমধ্যে ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে এবং আরও কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে ভাঙ্গনের মুখে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপরে উঠায় একে একে চিলমারী উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিদ্যালয়ের মাঠে ও ক্লাস রুমে পানি উঠায় ব্যাপারীপাড়া, পূর্বচর পাত্রখাতা, চরপাত্রখাতা, মাছাবান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় চরশাখাহাতি ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বন্যার কারণে ৫৫টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভার:) মো: জাহেদুল ইসলাম বলেন, ক্লাস করার উপযোগী না থাকায় বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে আর নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় চরশাখাহাতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘরও আসবাবপত্র অন্যত্র নেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: তাহের আলী জানান, পানি উঠায় এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বন্যার্ত মানুষজন আশ্রয় নেয়ায় সাময়িকভাবে ৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও ( মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল) বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে না যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে হাজারও মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/১০/২৪