।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বেড়েই চলছে দুর্ভোগ। ঘর ছাড়া পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশ আর ভোগান্তি। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে বন্যার পানি বাড়িতে উঠায় ৭দিন আগে ঘরবাড়ি ছেড়ে উপজেলার পাত্রখাতা বাঁধ এলাকার হাসিনা অবদা বাঁধে নিয়েছে আশ্রয়। প্রায় ১সপ্তাহ থেকে উক্ত এলাকার হাসিনাসহ বেশকিছু পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিলেও এখনও তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বা বে-সরকারি কোন সহায়তা। হাসিনার স্বামী আ: জলিল বয়সের কারণে কাজ করতে না পারায় পার্শ্ববর্তী ভাটায় পাহারার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে বন্যার কারণে সেই কাজও বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে পরেছে বিপাকে। এর উপর বন্যার কারণে ছাড়তে হয়েছে বাড়িঘর।
আ: জলিল এর স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, ৭দিন থেকে ঘরবাড়িতে পানি এখন আশ্রয় নিয়েছে বাঁধের রাস্তায় আরও কতদিন যে থাকতে হবে তা আল্লাহ ভালো জানেন। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতোদিন থেকে পানিবন্দি হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে দিন কাটলেও সহায়তা তো দূরের কথা কেউ খোঁজও নেয়নি।
হাসিনা বেগম আরো বলেন, ঘরে পানি উঠায় বাঁধের রাস্তার এক পাশে আশ্রয় নিয়ে এক পাশে গরু রেখে অন্য পাশে আমরা থাকছি।
শুধু আ: জলিল, গোলজার, আর হাসিনা নয় শতশত পরিবার এখন বাড়িঘর ছাড়া হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
পাত্রখাতা এলাকার আ: আজিজ, গোলেনুর, আজিজুরসহ অনেক বলেন, পাত্রখাতা বাঁধের স্লুইস গেটটি বেহালদশার কারণে বাঁধ এলাকাসহ স্লুইট গেটের ভিতরের পরিবারগুলো দীর্ঘদিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকতে হয়।
এদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও তিস্তার পানি ঢুকে পরায় রমনা, পাত্রখাতা, শরিফের হাটসহ বেশকিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুর্ভোগে।
সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে দাবি করে বানভাসী মানুষজন জানান, সরকার তো ঠিকই দেয় কিন্তু চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা সদস্যরা নিজেদের পেট আর পকেট ভরাতে ব্যস্ত।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/০৮/২৪