প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট ‘বুড়িতিস্তা’উলিপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী নদী।যা একসময় প্রমত্তা ছিল।১৮৯৮ সালের ভূমিকম্পে নদীটি তার যৌবন হারিয়ে মৃতপ্রায় হতে থাকে।পরবর্তীতে উলিপুরের ঐতিহ্য বহনকারী রাষ্ট্রীয় সম্পদ যৌবন হারানো ‘বুড়িতিস্তা’র উপর প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের চোখ পড়ামাত্রই নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে নদীটি। কমে এসেছে তার প্রস্থতা। বুড়িতিস্তার বুক ক্ষত-বিক্ষত করে গড়ে উঠছে বাড়িঘর,মার্কেট,প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা। একেবারেই মেরে ফেলা হচ্ছে নদীটিকে। নিশ্চিহ্ন করার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে কতিপয় হিস্ট-পুস্ট প্রভাবশালী আধুনিক ভূমিদস্যুগণ। বর্ষা এলে হুমকিতে পড়বে ঐতিহ্যবাহি গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,গুনাইগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মসজিদ ও একটি শশ্মান।সরাসরি স্রোত আঘাত হানতে পারে এই স্থাপনাগুলোতে। উলিপুর পৌর এলাকার সমস্ত পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বুড়িতিস্তা’র সাথে সংযুক্ত।এবার বর্ষা মৌসুমে বহু বাড়িঘর ও স্থাপনায় ঢুকতে পড়ে বর্ষার পানিতে। দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলি।”ঝামেলা এড়াতে চাই আমরা,মাথা ঘামাতে চাই না”।আমাদের চোখের সামনেই লুট হয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য। দখল হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ।হারিয়ে যাচ্ছে একটি নাম- ‘বুড়িতিস্তা’। এই বুড়ি তিস্তা কে রক্ষা করতে উলিপুরের সাংবাদিক সমাজ, রেল- নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি,সাধারন মানুষ একসাথে কাজ করার চেষ্টা করছে। আসুন আমরা চুপ না থেকে এই নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলি ।এই নদী আমাদের, বুড়ি তিস্তা আমাদের,এই উলিপুর আমাদের, এই নদী রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের ।আসুন সবাই এক সাথে স্লোগান তুলি বুড়ি তিস্তা বাঁচাও, উলিপুর বাঁচাও।
আপন আলমগীর
সভাপতি , রেল- নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি,উলিপুর উপজেলা শাখা