।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও সদরে বাড়ছে পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই অঞ্চলের মানুষ। চিলমারীতে পানিবন্দি হয়ে অবদা বাঁধ, আশ্রয়ণ কেন্দ্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এছাড়াও ভাঙ্গনের ফলে ভিটামাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে শতশত মানুষ। ভাঙ্গন ও বানভাসী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এছাড়াও বিতরণ কার্যক্রমে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে একদিকে বৃষ্টি অপর দিকে উজানের ঢল সেই সাথে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানিতে ভাসছে চিলমারী। নদ ও নদীর পানির তোড়ে ভাঙ্গছে ভিটামাটি ও স্থাপনা। ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করলেও রবিবার (৭ জুলাই) বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৬৪ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
এদিকে সদরে বন্যার পানি ঢুকে প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভোগান্তি পড়েছে সদ্য ভাঙ্গনে ভিটামাটি হারা মানুষগুলো। বন্যার পানি বাড়িঘর ঢুকে পড়ায়, বাড়িঘর ছেড়ে বন্যার্ত মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে, অবদা বাঁধে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙ্গন কবলিত মানুষজন ভিটামাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে অতি কষ্টে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নয়ারহাট, চিলমারী অষ্টমীর চর, রানীগঞ্জ, রমনা, থানাহাট ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে বন্যার্ত মানুষের আহাজারী। ইতোমধ্যে উপজেলা সদরে পানি প্রবেশ করায় সবুজপাড়া, মাছাবান্দা, সামছপাড়া, শান্তিনগরসহ বেশকিছু এলাকা নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পানি তোড়ে চরাঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। বন্যার্ত ও ভাঙ্গন কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও বিতরণে অনিয়েম অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যানগণ।
থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, সদরে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় আমার এলাকায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গনে প্রায় আমার এলাকার শতাধিক পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
৩৬ মে.টন চাল ও ২লক্ষ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো: মোশাররফ হোসেন বলেন, শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে এছাড়াও চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে শনিবার দিনব্যাপি চরাঞ্চলের বন্যাও ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন এবং বন্যার্ত ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকার প্রায় ১হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ।
//নিউজ//চিলমারী//সোহেল/জুলাই/০৭/২৪