।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারীর যাদুর চর বাঈমমারী এলাকায় কর্মকর্তাদের অবহেলায় বন্যায় বসতভিটা হারিয়েছেন মর্জিনা বেওয়া (৪৫) ও আয়নাল হক (৭০) নামের দুই জন।
শনিবার (৬ জুন) দুপুরে মর্জিনা বেওয়া ও আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, এখানে একটা স্লুইসগেট নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা এখানে বসতি গড়েছি আট বছর হলো। প্রতিবছরই বন্যা হয় স্রোতও থাকে অনেক কিন্তু আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই নাই। বছর খানেক আগে থেকে স্লুইসগেট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে অনেক গভীর করে পিলার করা হয়। পিলার করা শেষ হলেও মাটি ভরাট করেনি। আমরা বার বার বললেও তারা কোনো কর্নপাত করেনি। এবার বন্যায় আমার বসতভিটার অর্ধেক ভেঙে গেছে। আমরা গরীব মানুষ মাটি কেটে খাই। এতো গুলো মাটি ভরাট করার টাকা কই পাবো এখন। ভাঙার পরও তাদের ঘরটি ভাঙার হাত থেকে বাঁচাতে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের জিও ব্যাগ ফেলার কথা বলেন মর্জিনা ও আয়নাল হক কিন্তু এতেও তারা কোনো কর্নপাত করেনি। তারা আরও জানান, ইউএনও এসে দেখে এখানে বস্তা ফেলার জন্য বলে। পরে তারা আজ বস্তা ফেলে দিচ্ছেন।
এসব বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় আমরা সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে বাড়ি দুইটি রক্ষা করেছি। পরবর্তীতে যেখানে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে নকশা অনুযায়ী মাটি ভরাট করা হবে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, আমরা ভাঙন ঠেকাতে সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি আরও বলেন, আবেদন দিতে বলেন ঘর করার জন্য টিনের ব্যবস্থা করা হবে।
//নিউজ/রৌমারী//সুজন-মাহমুদ/জুলাই/০৬/২৪