।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
একের পর এক স্থানে ধস দেখা দিয়েছে চিলমারী ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে ও অবদা বাঁধে। ধস দেখা দিয়েছে রেগুলেটর (স্লুইস গেট) এর দুপাশে। একের পর এক স্থানে ধস দেখা দেয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সঠিক পদক্ষেপ না নেয়াসহ জিও ব্যাগ ফেলানো কাজে অনিয়ম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক নজরদরির অভাব ও গাফলতিকে দায়ি করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছেও বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চিলমারীর কাঁচকোল এলাকার কালিরকুড়া টি-বাঁধ থেকে কাঁচকোল বাজার পর্যন্ত অবদা বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের ৫টি স্থানে গত ১ সপ্তাহে প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। আরও কয়েকটি স্থানে ধসে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।
ধস দেখা দিয়েছে কাঁচকোল মাগুড়ার বিল এলাকার রেগুলেটর (স্লুইস গেট) এর দুপাশে ফলে হুমকিতে পড়েছে স্লুইসগেটটি। চলতি বন্যায় একের পর এক স্থানে ধস দেখা দেয়ায় পুরো উপজেলা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে উপজেলা রক্ষা বাঁধ, ডানতীর রক্ষা প্রকল্প, কাঁচকোল বাজার, কেডি ওয়ারী, বড়ভিটা, উত্তরওয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁচকোল ছকিনা দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে চলতি বছরের জুন মাসে মের্সাস ইউনাইটেড ব্রাদার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাঁচকোল এলাকায় প্রায় ৪২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলানো হয় ধস ও ভাঙ্গন রোধে।
জিও ব্যাগ ফেলানো কাজে অনিয়ম হওয়ায় কোন কাজে আসছেনা জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজর দারির অভাব এবং গাফলতির কারনে আবারও ধস দেখা দিয়েছে। এসময় নজরুল, আমিনুল, জহিরনসহ অনেকে জানান, এই অবদা বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ভেঙ্গে গেলে বেশকিছু সরকারি স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিনসহ একটি নদীর শাখা বের হওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে এছাড়াও হুমকির মুখে পড়বে উপজেলা সদরসহ প্রায় ২শতাধিক গ্রাম।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মঞ্জুরুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত বছরও বেশ কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ফেলিয়ে রক্ষা করলেও ধসের স্থানে পুরোরায় মেরামত না করাসহ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আবারও বন্যা শুরু হলে একের পর এক স্থানে ধস দেখা দিয়েছে।
চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, এবিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুত পদেক্ষেপ নেয়া হবে।
গত বছরের ধসের স্থান গুলো মেরামতের জন্য বাজেট পাওয়া যায়নি জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রাম মো: রাকিবুল হাসান বলেন, ধস ও ভাঙ্গন রোধে কাজ চলছে এবং জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে, তবে কোথায় কোনো অনিয়ম হয়নি। ধস ও ভাঙ্গনের জন্য অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ী।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/০৬/২৪