।। নিউজ ডেস্ক ।।
একদিকে হয়রানির শিকার সেবাগ্রহীতা মানুষজন দিচ্ছে অভিযোগ, অপরদিকে সেবা প্রদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অভিযোগের ভিত্তিতে দিচ্ছে ব্যাখা খোদ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর প্রধান প্রধান ব্যক্তিদের সামনে থেকে। এমনই এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে কুড়িগ্রামে।
কুড়িগ্রাম জেলা দুদক কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় এ গণশুনানি কুড়িগ্রাম শহরের শেখ রাসেল পৌর অডিটরিয়ামে রবিবার (০২ মে) সকালে অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। তিনি হাসি মুখে সেবা প্রদানের জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন,’শুদ্ধ চর্চার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরিসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেয়া যাবে না। হাসি মুখে সেবা প্রদানের জন্য সরকারি কর্মচারীদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো অভিযোগ নিয়ে আসার জন্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত।’
গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফের সঞ্চালনায় জেলার ৪১টি সরকারি দপ্তরের সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার, ঘুষ দিতে বাধ্য, বঞ্চনার শিকার ইত্যাদি নানান বিষয়ে ৬০ জন সেবাগ্রহীতা তাদের অভিযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সেগুলোর সমাধান দেয়া হয়। এসব অভিযোগের পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জেলার হাসপাতাল, বিআরটিএ, গণপূর্ত বিভাগ, খাদ্য অধিদপ্তর, পাসপোর্ট অফিস, জেল হাজত, পোস্ট অফিস ইত্যাদি সরকারি দপ্তরগুলোতে মানুষ বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে এ গণশুনানি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোঃ আক্তার হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক তালেবুর রহমান, পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন, দুদক কুড়িগ্রামের উপপরিচালক মোঃ সিরাজুল হক প্রমুখ।