।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বৈশাখের গরম যেতে না যেতেই স্বস্তি এনে দেয় বৃষ্টি বা কাল বৈশাখী ঝড়। এই বৃষ্টি বা ঝড়ের সাথে আসা বজ্রপাত অনেক সময় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সাধারণত দুর্যোগের মধ্যে বন্যা এবং সাইক্লোনের ক্ষেত্রে কিছু প্রস্তুতি নেয়া গেলেও বজ্রপাতের বিষয়টি একেবারে অন্যরকম, ভূমিকম্পের মতো আকস্মিক। তাই বজ্রপাতে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেতে এবং বজ্রপাত বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়ানো অতি জরুরি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ ফারুখ বলেন, ‘বজ্রপাত এমন একটি দুর্যোগ আমরা চাইলেই এটি ম্যানিপুলেট বা কন্ট্রোল করতে পারি না। কোনো একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় বজ্রপাতকে আটকে রাখার মতো প্রযুক্তি আমাদের এখনো নেই। তবে পৃথিবীর অনেক দেশেই এটা এখন সম্ভব। আলাস্কা, কানাডার মতো জায়গায় যারা আবহাওয়ার রূপান্তর ঘটাতে পারে ও একে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারে। সেটা করতে পারলে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এছাড়া ‘বজ্রপাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হতে পারে তালগাছ লাগানো।
চলুন জেনে নেয়া যাক বজ্রপাত থেকে বাঁচতে যেসব কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে-
★ ঘন ঘন বজ্রপাত হলে খোলা বা উঁচু জায়গা থেকে দূরে থাকুন।
★ পাকা বাড়ি বা দালানের নিচে আশ্রয় নিন।
★ উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের সংযোগযুক্ত স্থান থেকে দূরে থাকুন।
★ বজ্রপাতের সময় ধানখেত বা খোলা মাঠে থাকলে দ্রুত পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিন এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।
★ এই সময় জানালার কাছাকাছি না থেকে দূরে অবস্থান নিন।
★ বজ্রবৃষ্টির সময় বাড়িতে থাকাকালীন ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
★ বৈদ্যুতিক সংযোগ আছে এ রকম সব ধরণের যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
★ গাড়িতে চলাচলের সময় বজ্রপাত বা বজ্রবৃষ্টি হলে, তবে গাড়ি কোনো পাকা ছাউনির নিচে নিয়ে যান এবং নিরাপদ আশ্রয় নিন।
★ বজ্রপাতের সময় রাস্তায় বের না হওয়ার চেষ্টা করুন।
★ কেউ বজ্রপাতে আহত হলে, তাকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
সূত্রঃ The Daily Star বাংলা।