।। নিউজ ডেস্ক ।।
প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে কুড়িগ্রামে জনজীবন আবারও অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। গত দুদিন ধরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের প্রখরতার পাশাপাশি দাবদাহে হাফিয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং, তাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ তাপমাত্রা আজ ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপাতত জেলায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এরুপ গরমের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, প্রচণ্ড গরমে রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ ফাঁকা ও সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। অনেকেই গরম থেকে রেহাই পেতে গাছের শীতল ছায়ায় জিরিয়ে নিচ্ছেন।
কুড়িগ্রাম সদরের পৌর এলাকার বাসিন্দা সেকেন্দার আলী জানান, যে গরম পড়ছে গত এক মাসের প্রচণ্ড গরমের চেয়ে অনেক বেশি।
অন্যদিকে, এত বেশি তাপমাত্রায় স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। বিশেষ করে শিশু শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি কষ্টে পড়েছে।স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় বাধ্য হয়ে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীকে গরমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অভিভাবক মাহফুজুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন আগে যে গরম ছিল তার চেয়ে বেশি গরম থাকলেও কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না রাখায় বাচ্চাদের স্কুলে প্রেরণ করতে হচ্ছে।
এছাড়াও জেলার আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আবারও গত কয়েকদিন ধরে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়াসহ নানা গরমজনিত রোগে ভর্তি হচ্ছে রোগী। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। চিকিৎসকরা ডাবের পানি ও ঘন ঘন স্যালাইন কিংবা লেবুর শরবত পান করতে নির্দেশনাসহ প্রয়োজনের বাইরে এ চড়া রোদে বের না হওয়ার পরামর্শ প্রদান করছেন।