।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে ৩টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোট প্রদান করে।
নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসন থেকে আনারস প্রতীক নিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম রতন ৫২ হাজার ৪৪ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩ ভোট। অপরদিকে উলিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাজাদুর রহমান তালুকদার সাজু আনারস প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এদিকে রাজারহাট উপজেলায় ৩৮ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে পুনরায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যোন জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু নুর মোঃ আক্তারুজ্জামানকে ১৯ হাজার ৪৬৬ ভোটে পরাজিত করেছেন। আবু নুর আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫৭ ভোট।
নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৮১ হাজার ৬২৬ জন। চেয়ারম্যান পদে কুড়িগ্রাম সদরে ৫ জন, উলিপুরে ৫ জন এবং রাজারহাটে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কুড়িগ্রাম সদরে ৪ জন, উলিপুরে ২ জন ও রাজারহাটে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সদরে ৩ জন, উলিপুরে ৩ জন ও রাজারহাটে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোট গ্রহণ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম জানান, তিন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। বিজিবি, আনসার, র্যাব ও পুলিশের ১২শ সদস্য নিবার্চনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ভোটের পরিবেশ নিয়ে খুশি ভোটাররা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ সাংবাদিকদের জানান, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ শতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।