।। নিউজ ডেস্ক ।।
তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার গুরুত্ব এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি, তাই মিডিয়া এবং তথ্য স্বাক্ষরতায় দক্ষতার বিকল্প নেই, বিশেষ করে মিডিয়া কর্মীদের জন্য। এই চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে যায় প্রান্তিক এলাকার সাংবাদিকদের জন্য। এই বিষয় নিয়েই ১৬ মে (বৃহস্পতিবার) রংপুরে সাংবাদিক, এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে আর্টিকেল নাইনটিন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রংপুর শহরের এনজিও ফোরামের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত দিনভর পরিচালিত ট্রেনিং সেশনে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়ার সাংবাদিকসহ ৩৫ জন অংশ নেন। এছাড়াও রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, নিলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা থেকে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীরাও ট্রেনিংয়ে অংশ নেন।
বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বাংলাদেশও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বিশেষ করে অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যের উৎস ও মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে এ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা নানা ধরণের নেতিবাচক ও স্পর্শকাতর ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার, গুজব, ফেক বা ভুয়া তথ্যের ব্যবহার, উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার ইত্যাদি। ভূয়া তথ্য শনাক্তের ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে কর্মরত সাংবাদিকেরা আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীসহ মানবাধিকার কর্মীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, গুজব, ভুয়া তথ্য বুঝা ও শনাক্তকরণে দক্ষ ও সচেতন করে তুলতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আর্টিকেল নাইনটিন ‘‘এমপাওয়ারিং জার্নালিস্ট, অ্যাকটিভিস্ট এন্ড এইচআরডি টু আইডেন্টিফাই ফ্যাক্ট ফ্রম ফেক’’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অপতথ্য/ভুল তথ্য প্রতিহত করা এবং মিডিয়া লিটারেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষ করে তোলাই এই কর্মশালার উদ্দেশ্য।
সম্পাদকের নোট হিসেবে আর্টিকেল নাইনটিন একটি আর্ন্তজাতকি মানবাধিকার সংস্থা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। এটি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে কাজ করছে। সংস্থাটি ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করে আসছে।