।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
গরমের দিনে তৃষ্ণা বা পিপাসা মেটাতে অনেকই পানির পাশাপাশি অন্যান্য পানীয় পান করে থাকেন। এর মধ্যে ফলের রস, লেবুর শরবত ও কোমল পানীয় খাওয়ার প্রচলন অন্যতম। কেউ কেউ আবার শরীর ঘেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা ভারী কোনো কাজ করার পর পান করেন খাবার স্যালাইন। তবে কোনটা পান করতে সহজেই পিপাসা মিটবে বা স্বাস্থ্যের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, আমরা অনেকেই এই বিষয়টা সম্পর্কে অবগত নই।
গরমে পিপাসা মেটাতে কোন পানীয়কে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন , তৃষ্ণা নিবারণে সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। আমাদের শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির দরকার। মানব শরীরের রক্ত, প্রস্রাবসহ বেশির ভাগ তরলের পিএইচ ৭ দশমিক ৩ থেকে ৭ দশমিক ৪। আবার প্রতিটি অঙ্গ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এই নির্দিষ্ট পিএইচ ও তাপমাত্রা বজায় রাখতে বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। কারণ, বিশুদ্ধ পানির পিএইচ মান ৭ এবং এর তাপমাত্রাও আমাদের শরীরের তাপমাত্রার খুব কাছাকাছি।
অন্যান্য পানীয়ের ক্ষেত্রেঃ-
ফলের রস: ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধ ফলের রস উপকারী হলেও বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কেননা, অতিরিক্ত ফলের রসে শরীরের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এ কারণে নিয়ম করে দিনে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার পর্যন্ত ফলের রস খাওয়া যেতে পারে।
লেবুর শরবত: লেবু একটি অ্যাসিডিক ফল এবং এর পিএইচ মাত্রা ৭ এর কম। যার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর শরবত পান করলে পিএইচের ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
স্যালাইন পানিকে না করুন: সাধারণত ডায়রিয়া রোগীদের জন্য স্যালাইন খাওয়া ভালো। কিন্তু শুধু পিপাসা মেটাতে স্যালাইন খেলে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। আবার কারও কারও শরীরে পানি জমতেও পারে। কিডনি ও হৃদ্রোগীদের অকারণে স্যালাইন খাওয়া মোটেই উচিত নয়। সঠিকভাবে স্যালাইন না তৈরি করতে পারলে মৃত্যুঝুঁকিও থাকে অনেকাংশে। তাই সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন।
এতেই শেষ নয়, পিপাসা মেটাতে ফ্রিজের ঠান্ডা পানির ব্যবহার বাদ দিতে হবে। কারণ এতে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।