।। নিউজ ডেস্ক ।।
সম্প্রতি রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন কুড়িগ্রাম জেলার বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এ সময় রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ‘১৯৯২ সালে রেয়াত পদ্ধতির মাধ্যমে রেলওয়ে যাত্রী সংকট মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। সে কারণেই রংপুর বিভাগ থেকে যাতায়াতে ১২০ কিলোমিটার পথের কোনো ভাড়া দিতে হতো না। কিন্তু হঠাৎই গত ৪ মে রেয়াত পদ্ধতি বাতিল করে ভাড়া আদায়ের কারণে রংপুর থেকে ঢাকার ভাড়া ৫০৫ টাকার স্থলে ৬৩৫ টাকা গুনতে হচ্ছে এবং যাতায়াতে তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। অবিলম্বে এই রেয়াত পদ্ধতি পুনর্বহাল, ব্রড গেজ লাইন নির্মাণ, সরাসরি রংপুর বিভাগ থেকে বালাসীঘাট হয়ে ঢাকা এবং বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করতে হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুট) ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১ হাজার ২৩৭ টাকা। রংপুর এক্সপ্রেস (ঢাকা-রংপুর রুট) ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১ হাজার ২১৪ টাকা।
নিয়মিত কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাতায়াতকারী কয়েকজন উলিপুর ডট কমকে জানান, বাড়তি টাকা দিয়ে ট্রেনে ঢাকা না গিয়ে বাসে যাওয়াটা অনেক সাশ্রয়ী, কারণ ট্রেনে অতিরিক্ত ১২০ কিঃমিঃ রাস্তা পাড়ি দিয়ে ঢাকা যেতে হয় এবং অতিরিক্ত সময় লাগে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা, আবার বেশিরভাগ সময় ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে আমরা সময়মতো ঢাকা পৌঁছাতে পারি না। যেখানে বাসে এসব সমস্যা সমাধান না করে রেলের অতিরিক্ত টাকা আদায় করাটা অযৌক্তিক।
মানববন্ধনে দাবি আদায়ে বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন অংশগ্রহণকারীরা।