।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
তীব্র গরমে এমনিতেই দেহের হজম ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায় অনেক বেশি। এ সময় বদহজম ও পেটের নানা সমস্যার পাশাপাশি বমির প্রকোপ দেখা দেয়। আর তাই যখন তখন দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া। সাধারণত ডায়রিয়া হলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ এই রোগে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতার জটিলতা। তাই এই অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করতে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী।
ডায়রিয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ডায়রিয়া রোগকে তেমন গুরুত্ব দেন না বেশিরভাগ মানুষ। অথচ এখনও ডায়রিয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। কোন পরিস্থিতিতে সাধারণ এ রোগটি মৃত্যুর ঝুঁকিকে ডেকে আনে সে বিষয়ে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই।
ডায়রিয়া হওয়ার কারণ
সাধারণত সংক্রমণের মাধ্যমে ডায়রিয়া রোগ দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়াল, ভাইরাল কিংবা কৃমির কারণেও হতে পারে এই অসুখটি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবার বা পানি থেকে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।
লক্ষণঃ-
★ পেট ফেঁপে থাকা
★ পেটে খিঁচুনি বা ব্যথা অনুভূত হওয়া
★ বমি বমি ভাব
★ বমি হওয়া
★ জ্বর হওয়া
★ তরল জলের মত মল
★ কখনো কখনো ফ্যানা সৃষ্টি হয়
★ মল আঁশটে দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে
★ মলে অনেকসময় রক্ত দেখা যায়
করণীয়
ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে খাবার স্যালাইন, তরল পানীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর এক প্যাকেট বা আধা লিটার করে খাবার স্যালাইন খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তরল পানীয়ের মধ্যে চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, কিংবা ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। ভাতের মাড়ে সামান্য লবণ দিতে পারেন। নিরাপদ পানি পানের জন্য পানি ফুটানোর ব্যবস্থা না থাকলে প্রতি ৩ লিটার পানিতে একটি পানি-বিশুদ্ধকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি নিরাপদ করতে পারেন। এছাড়া রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর ও উন্মুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাওয়ার আগে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে তবেই খাবার খেতে হবে।