।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
পাকস্থলী কিংবা ডিওডেনামে ক্ষত সৃষ্টিকারী অন্যতম একটি রোগের নাম হলো পেপটিক আলসার। মূলত এ রোগ দেখা দেয়ার পেছনে কারণ রয়েছে দুটি। হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি জীবাণু কিংবা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এর প্রথম কারণ এবং এ রোগ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন বা অন্য যেকোনো এনএসএ আইডিজাতীয় ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহার। সাধারণত নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাঝে এই রোগে আক্রান্তের হার তুলনামুলক বেশি। তাই রোগীর সুস্থতার দিক বিবেচনা করে সময় মতো পেপটিক আলসারের চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরী।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এমএ হাছান চৌধুরী দেশীয় এক গণমাধ্যমে বলেন, ‘যারা নিয়মিত খাবার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন, তাদের পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে। পেপটিক আলসার যে শুধু পাকস্থলীতেই হয়ে থাকে তা কিন্তু নয় বরং এটি পৌষ্টিকতন্ত্রের যেকোনো অংশেই হতে পারে।’
লক্ষণ বা উপসর্গ
⇛ পেটে ব্যথা
⇛ বমি বমি ভাব এবং বমি
⇛ ক্ষুধামান্দ্য
⇛ ওজন কমানো
⇛ ফুলে ওঠা
⇛ অম্বল
⇛ মলের মধ্যে রক্ত
পরীক্ষা পদ্ধতি
অ্যান্ডোস্কপির মাধ্যমে পেপটিক আলসারের পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় রোগীর বয়স অনুযায়ী অ্যান্ডোস্কপি করা সম্ভব না হলে বেরিয়াম মিল এক্সরে অফ দ্য স্টোমাক করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
করণীয়
⇛ দৈনিক ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে
⇛ নিয়ম করে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করবেন
⇛ নিয়মিত খাদ্যতালিকায় শাকসবজি রাখা অত্যাবশ্যক
⇛ অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন
⇛ মাছ খেতে পারবেন
⇛ দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করুন
⇛ রাতে হালকা খাবার খেতে হবে
⇛ রাতে খাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাবেন
⇛ সময়মতো খাবার খেতে হবে
⇛ ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে
⇛ ভাজাপোড়া বা ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, যদি কোনো ব্যাক্তির রক্তবমি হয়, আবার হঠাৎ তীব্র পেটে ব্যথা ও শরীরের ওজন কমতে দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নিতে হবে।