।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
তাপজনিত গুরুত্বর একটি অসুস্থতা হলো আতপাঘাত। যাকে ইংরেজি পরিভাষায় হিট স্ট্রোকও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা যখন ১০৪ ডিগ্রি পেরিয়ে যায় কিংবা কখনো কখনো ১০৬ ডিগ্রিও হয়ে যায়, ঠিক সেই অবস্থাকেই হিট স্ট্রোক হয়েছে বলে গণ্য করা হয়। এই অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির যত দ্রুত সম্ভব সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরী। তা নাহলে ব্যক্তির স্থায়ী পঙ্গুত্ব। এমনকি জীবন সংশয়ের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ দেশীয় এক গণমাধ্যমকে জানান, হিট স্ট্রোকের মূল ঝুঁকি মূলত যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন তাদের। মানব দেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। দীর্ঘ সময় গরমে থাকায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়।
হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ
মাত্রাতিরিক্ত রোদ কিংবা তীব্র দাবদাহে কেউ বেশি সময় ধরে অবস্থান করলে তাদের হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। এছাড়া কঠোর কায়িক শ্রম, ভারি কাজ ও ব্যায়াম করার ফলেও হিট স্ট্রোক হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফলের রস পান না করা, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানসহ শরীর ডিহাইড্রেড হয়ে যাওয়ার কারণেও হিট স্ট্রোক হতে পারে।
লক্ষণ
★ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা
★ মাথা ঝিমঝিম করা
★ মতিভ্রম (হেলুসিনেশন) হওয়া
★ মানসিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন
★ শরীর ভীষণ দূর্বল হয়ে পড়ে
★ অবসাদগ্রস্ততা
★ বমি বমি ভাব হওয়া
★ খিচুনি হয়
★ হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়
★ শরীর লালচে ও শুষ্ক হওয়া
করণীয়
➤ প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে
➤ ডাবের পানি, ফলের রস, ডিটক্স ওয়াটার, স্যালাইনের পানি ইত্যাদি সমাধান হিসেবে খাওয়া যেতে পারে
➤ গরমে বাড়ির বাইরে কম-বেশি সবাইকেই বের হতে হয়। তাই বাইরে গেলে আরামদায়ক ও হালকা রঙের পোশাক পড়ে যাওয়া প্রযোজ্য
➤ শরীর যাতে ডিহাইড্রেড না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
➤ কড়া গরমে ভারি কাজ, কায়িক পরিশ্রম ও শারীরিক কসরত না করাই উত্তম
➤ নিয়মিত প্রোটিন, আয়রন ও বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।