।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
আঁশযুক্ত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্ভিদ হলো লেটুস পাতা। শুধু আঁশযুক্ত শাক-সবজি বললে ভুল হবে কেননা, এই উদ্ভিদটির রয়েছে নানান উপকারিতাও। সুস্বাদু ও পুষ্টিতে ভরপুর লেটুস পাতায় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ফলেট ও পটাসিয়ামে ঠাসা থাকে। ধমনীর অনমনীয়তা কমানোর পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে খুবই উপকারী এটি। তাছাড়া হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতেও নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন লেটুস বা লেটুস পাতা।
লেটুস পাতার ব্যাপারে শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পুষ্টিবিদ রেবেকা সুলতানা শিল্পী দেশীয় এক গণমাধ্যমে বলেন, সাধারণত সালাদ, বার্গারের ভেতরে বা স্যান্ডউইচে লেটুস পাতা খাওয়া হয়। এ ছাড়া লেটুস কাঁচা ও রান্না উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। এতে নানা রকম ভিটামিন রয়েছে। এ পাতায় ক্যালরির পরিমাণ রয়েছে অনেক কম।
আসুন জেনে নেয়া যাক লেটুস পাতার সব অজানা গুণাগুণঃ-
★ লেটুস পাতায় থাকা সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি শরীরের যেকোনো অঙ্গে জমে থাকা পানি রোধ করতে সহায়তা করে
★ শরীর থেকে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ যেমন- হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূরে রাখতে নিয়মিত লেটুস পাতা খাওয়া ভালো
★ ত্বকের বলিরেখা না পড়ার জন্য প্রতিদিন সেটুস পাতা খেতে পারেন
★ লেটুস পাতায় তৈরি করা সালাদ রক্ত পরিষ্কার ও হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা প্রদান করতে সাহায্য করে
★ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে লেটুস পাতার গুরুত্ব অনেক। পাশাপাশি ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এ পাতা
★ শরীরের কেটে যাওয়া অঙ্গে লেটুস পাতা থেঁতলে দিলে ব্যথা কমে যায় অনেকাংশে
★ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে লেটুস পাতা। তাই রক্তশূন্য রোগীরা লেটুস পাতা খাবার হিসেবে রোজ খেতে পারেন
★ লেটুস পাতা দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় বেশ উপকারী
★ লেটুস পাতায় রয়েছে ল্যাকট্যাক্যারিয়াম নামক একটি উপাদান যা সঠিক সময়ের মধ্যে ঘুমাতে সাহায্য করে। তাই দৈনিক খাদ্যতালিকায় এ পাতা রাখা শ্রেয়।