।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
চলমান গ্রীষ্মের খরতাপে জনজীবনে দেখা দিচ্ছে হাসফাঁস অবস্থা। আর গরমের তীব্রতা বৃদ্ধিতে ও তীব্র রোদের দাপটে শরীরের সব পানি শুকিয়ে পানিশূন্যতার আশঙ্কা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বের হয়ে যায় সোডিয়াম ও পটাশিয়াম জাতীয় প্রয়োজনীয় লবণ। তাই এই অসহণীয় গরমে শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ঘামের সঙ্গে পানি বেরিয়ে গিয়ে অথবা প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এর ফলে ডায়রিয়া ও বমি হতে শুরু করে।
জেনে নিন পানিশূন্যতার লক্ষণঃ-
★ অত্যধিক হারে গলা শুকিয়ে যাওয়া
★ ক্লান্তি বোধ হয় ও শরীরকে অচৈতন্যঅভিভূত মনে হয়
★ মাথা ব্যথা করা ও খিদে থাকে না বললেই চলে
★ প্রস্রাব করার সময় লালচে দেখা যায়
★ শুষ্ক-রুক্ষ ত্বক হওয়া
★ ক্রাম্প করতে দেখা যায় মাংসপেশিতে
★ শরীর মাত্রাতিরিক্ত ঘামতে দেখা যায়
বেশকিছু গুরুত্বর লক্ষণঃ-
★ মাথা ঘোরা
★ হৃৎস্পন্দন দ্রুত হওয়া
★ অজ্ঞান হয়ে পড়া
★ শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়
★ প্রচণ্ড ঘুম পায়
★ ঘন ঘন বমি হয়
পানিশূন্যতা থেকে পরিত্রাণের উপায়ঃ-
➤ বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সর্বনিম্ন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি দৈনিক খেতে হবে
➤ অ্যালকোহলের পাশাপাশি চা-কফি ও সোডা পান থেকে বিরত থাকতে হবে
➤ পানিশূন্যতা রোধে নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা শ্রেয়। এর ফলে বদহজমেরও সমস্যা দূর হয়
➤ বাইরে কোথাও গেলে সব সময় ব্যাগে পানির বোতল রাখুন এবং সময় হলে পর্যাপ্ত পানি পান করে তৃষ্ণা দূর করুন
➤ পানিজাতীয় বিভিন্ন ধরণের সবজি ও ফল যেমন- শসা, তরমুজ, টমেটো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যুক্ত করে খাওয়া ভালো
➤ পানিশূন্যতা ও লবণের ঘাটতি পূরণে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩-৪টি ওরস্যালাইন সঠিক নিয়মে গুলিয়ে খেতে হবে
➤ পানিশূন্যতা রোধে বেশি করে লেবুর শরবত ও ফলের রস খেতে হবে