।। টেক ডেস্ক ।।
বাইক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার সময় চলার সঙ্গী হিসেবে বাইক ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে শখের এই বাইক চালানোর কিছুদিন পরই যদি মাইলেজ কমতে দেখা যায় তাহলে বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। একই সাথে বর্তমানে পেট্রোলের যে আকাশ ছোঁয়া দাম তাতে চিন্তায় ভুগতে দেখা যায় অনেক বাইক চালককে। তবে বেশকিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে বাইকের মাইলেজ পূর্বের তুলনায় ভালো পেতে পারেন।
জেনে নিনঃ-
স্বাভাবিক গতি রাখা: অস্বাভাবিক গতিতে বাইক চালালে দ্রুত মাইলেজ কমতে দেখা যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বাইক চালালে ভালো মাইলেজ পাওয়া যাবে এবং সেই সঙ্গে ইঞ্জিনের আয়ুও বেড়ে যাবে অনেক গুণ।
নিয়মিত সার্ভিসিং করানো: শখের বাইকটিকে সময়মতো সার্ভিস করে নেয়া জরুরী। প্রয়োজন হলে এয়ার ফিল্টার, ইঞ্জিন তেল এবং তেল ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি চেইন স্প্রোকেটে ঝামেলা থাকলে তা সংশোধন ও তেলযুক্ত রাখতে হবে। যথা সময়ে বাইক সার্ভিস করালে শুধু মাইলেজই বাড়াবে না সেই সঙ্গে বাইকটি আরও ভালো চলবে এবং সবসময় নতুনত্বের ছোঁয়ায় থেকে যাবে।
গতি অনুযায়ী বাইকের গিয়ার নির্বাচন: বেশি গতিতে বাইক চালানোর ক্ষেত্রে চতুর্থ বা পঞ্চম গিয়ারে চালানো উচিত। কম গতিতে চালানোর সময় দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় গিয়ারে রাখা ভলো। ফলে বাইকের জ্বালানির খরচ সঠিক পরিমাণে হবে এবং মাইলেজ পূর্বের তুলনায় বেড়ে যাবে।
টায়ারের হাওয়া নির্ধারণ: কখনো বাইকের টায়ারের হাওয়া কম কিংবা বেশি রেখে চালানো উচিত নয়, সর্বদা বায়ুচাপ সঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। পরিমাণ অনুযায়ী শীতকালে ৩৫ পাউন্ড এবং গ্রীষ্মে ৩২ পাউন্ড রাখা উত্তম। এতে ভালো মাইলেজ দেবে এবং ইঞ্জিনের সক্ষমতা বজায় থাকবে।
বাইক পার্কিংয়ে সতর্ক: সূর্যের আলোতে কোনো সময় বাইক পার্ক করা উচিত নয়। কেননা, বাইকের ট্যাঙ্কে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার কারণে তা উত্তপ্ত হয়ে পেট্রোল বাষ্প হয়ে গিয়ে বাইকের মাইলেজ কমতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, বাইকের রঙ নষ্ট হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ এটি।