।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সাজু মিয়া ও তার স্ত্রী। সাজু মিয়া উপজেলার শামছপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রেসক্লাব চিলমারীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সাজু মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ কনা বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সাজু মিয়া দীর্ঘ ২৩-২৪ বছর থেকে উপজেলার শামছপাড়া এলাকায় তার স্ত্রী-সন্তানসহ বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বাহাল উদ্দিন এবং ধীরেন্দ্রনাথ বর্মনের সাথে চুক্তি পত্রের ভিত্তিতে চলাচলের রাস্তার ব্যবস্থা হয়েছিল। সে মোতাবেক দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তায় চলাচল করেন তিনি। দুই প্রতিবেশী প্রায়ই তাদের নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে। সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহাল উদ্দিনের দুই ছেলে বিসিএস ক্যাডার (এএসপি) পুলিশ হওয়ায় তাদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। গত ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল তারিখে প্রতিবেশী পুলিশ অফিসার মাসুদ রানা আমাদের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের গুরুত্বর রক্তাক্ত-জখম করে। অসুস্থ অবস্থায় চিলমারী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে এলাকাবাসী বিষয়টি মীমাংশার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে মামলা রেকর্ড থেকে বিরত রাখেন। পরে স্থানীয়রা সালিশ বৈঠকে বসলে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহাল উদ্দিন ও তার দুই পুত্র মীমাংসায় রাজি হয়নি। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর তারিখে দিবালোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহাল উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে আমাদের বসতবাড়ির সীমানা দখল করে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করে। এতে আমি এবং আমার স্ত্রী বাধা দিলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। বিষয়টি নিয়ে দুই পুলিশ অফিসারের ক্ষমতার দাপটে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা করে গৃহ ছাড়া করেন তারা। আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী বাহাল উদ্দিন তার দুই ছেলের ক্ষমতার দাপটে রাতের আঁধারে আমার বাড়ির চলাচলের রাস্তার উপর পাকা প্রাচীর নির্মাণ করে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনাটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ, থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরে সকলে মিলে কয়েক দফায় বিষয়টি সমাধানের জন্য বসলেও দুই প্রতিবেশী রাজি হয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি তারা। এমতাবস্থায় দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানান তিনি।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/১৭/২৪