।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
অবশেষে প্রায় ৩ মাস পর চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে চলাচল শুরু করল ফেরি। ফেরির যাত্রা শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আশার আলো জেগেছে, স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে জনসাধারণসহ স্থানীয়দের মাঝে। বাড়বে রাজস্ব আয়ও।
জানা গেছে, চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের সাথে সাথে ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দেয় আশার আলো। উত্তরাঞ্চলে লাগে উন্নয়নের ছোয়া। ফেরি চালুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বেশ সাড়া পড়ে যায় এই রুটে, বেড়ে যায় চাহিদা। চাহিদার কারণে আরও ফেরি যুক্ত করা হয় এই রুটে। চাহিদা পূরণের জন্য বর্তমানে ২টি ফেরি, ফেরি কুঞ্জলতা ও ফেরি কদম চালু রাখে কর্তৃপক্ষ। চাহিদার কারণে দিনে ২ থেকে ৪ বার চালানো হতো ফেরি ২টি। ব্যাপক চাহিদার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই রুটে রাজস্ব আয়ও বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ ফেরি চলার পর বন্ধ হয়ে পড়ে। আর একটি কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয় রৌমারী সদর যাওয়ার পথে একটি কালভার্ট ধসে পড়ায়। অজ্ঞাত কারণে দ্রুত কালভার্ট বা বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় প্রায় ৩ মাস বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল। ফলে চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে শতশত পণ্যবাহী গাড়ির চালকরা ভিন্ন পথ বেছে নেয় এবং বন্ধ হয়ে পড়ে চলমান রুটটি, সাথে দুর্ভোগেও পড়ে জনসাধারণ। প্রায় ৩ মাস পর ধসে যাওয়া কালভার্টের স্থানে একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। সড়ক তৈরি হওয়ায় চিলমারী-রৌমারী রুটে আবারও ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসে ৪ এপ্রিল চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও পণ্যবাহী গাড়ি না থাকায় একটি পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে যাত্রা শুরু করে ১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার)।
ফেরি চলাচল শুরুর খবর আবারও ছড়িয়ে পড়লে, আবারও বাড়তে শুরু করেছে এই রুটের চাহিদা। চালুর ২য় দিন বুধবার (১৭ এপ্রিল) ফেরি কদম ৭টি পণ্যবাহী গাড়ি, বেশকিছু মোটরসাইকেলসহ যাত্রী নিয়ে বেলা ১১টার পর রৌমারীর উদ্যোগে রওনা দেয়। আবারও ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় আশার আলো জেগেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে এবং স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে এই রুটে চলাচলকারী জনসাধারণসহ স্থানীয়দের মাঝে।
মোটরসাইকেল আরহীরা বলেন, ফেরিতে অনেক সুবিধা, ১শত টাকা হলেই যাওয়া যায় এবং কুলির ঝামেলা কিংবা অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় না। ট্রাক চালকরা বলেন, ফেরিটি বন্ধ হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছিলাম এবং অন্যরুটে অতিরিক্ত টাকাও খরচ করতে হয়েছে, এটি চালু হওয়ায় আমাদের জন্য এবং মহাজনের জন্য সুবিধা হলো।
বিআইডব্লিউটিসির চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, রৌমারীতে একটি কালভার্ট ধসে যাওয়ায় ফেরি বন্ধ ছিল, সেই স্থানে বিকল্প সড়ক হওয়ায় আর সমস্যা না থাকায় চালু করা হয়েছে ফেরি ২টি, তবে পণ্যবাহী গাড়ির চাহিদার উপর নির্ভর করবে ফেরি চলাচলের।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/১৭/২৪