।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
চোখের পুষ্টি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রক্তনালিপূর্ণ চোখের মধ্য স্তরকে ইউভিয়া বা ভাসকুলার কোট বলে। আর ইউভিয়া ও এর চারপাশের টিস্যুগুলোর প্রদাহ হলে তাকে বলা হয় ‘ইউভাইটিস’। চোখে আঘাত, জীবাণুর সংক্রমণ, কানেকটিভ টিস্যু বা যোজককলার রোগ ইত্যাদি কারণে এ রোগ হতে পারে। মূলত এ রোগে রোগীর একটি বা উভয় চোখই আক্রান্ত হতে পারে। যথা সময়ে এ রোগের চিকিৎসা না করালে রোগী কেবল চোখে কম বা ঝাপসা দেখবেই না বরং অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
ইউভাইটিস বিষয়ে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শরমীন সোহেলী বলেন, ইউভাইটিস হওয়ার সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত অজানা রয়েছে। তবে অটোইমিউন রোগের কারণেও এ সমস্যা দেখা যায়। তাছাড়া যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রোগীর চোখসহ বিভিন্ন টিস্যুর ওপর আক্রমণ করে, আলসারেটিভ কোলাইটিস, এইচআইভি সংক্রমণ, হারপিস, লাইম ডিজিজ, সিফিলিস, টিউবারকিউলোসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগের থেকেও ইউভাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেশকিছু বহিরাগত দিক যেমন- চোখে তীব্র আঘাত পাওয়া, বিষাক্ত দ্রব্য চোখে ঢুকলে এমনকি ধূমপান করার ফলে এ রোগ হতে পারে।
লক্ষণ
★ চোখ দিয়ে সঠিক দেখতে না পাওয়া বা কম দেখা
★ চোখে ঝাপসা দেখতে পাওয়া
★ চোখে কালো বিন্দু ভেসে বেড়াতে দেখা যায়
★ আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বা ফটোফোবিয়া
★ চোখে ব্যথা অনুভব হয় এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া
★ মাথায় যন্ত্রণা করা
★ তারারন্ধ্র ছোট আকারের হয়ে যাওয়া
★ চোখের তারার রঙ পরিবর্তন হতে দেখা যায়
★ চোখ দিয়ে পানি পড়তে দেখা যায়
চিকিৎসা পদ্ধতি
চোখের এ জটিল রোগের চিকিৎসা গ্রহণে যত দ্রুত সম্ভব চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া ইউভাইটিসের প্রদাহ কমাতে কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধসহ তারারন্ধ্র প্রসারণে সহায়তায় মাইড্রিয়াটিক চোখের ড্রপের ব্যবহার এবং সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রযোজ্য। আলোর প্রতি সংবেদনশীলতার জন্য গাঢ় রঙের চশমা ব্যবহার করতে হবে।