।। নিউজ ডেস্ক ।।
চিলমারীতে শিক্ষকের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় অবশেষে বেতন-ভাতা বন্ধ হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলার থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছাঃ আঞ্জুমান আরার এমপিওতে বেতন-ভাতা বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এমপিওতে ওই শিক্ষকের গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ তৈয়ব আলী।
মোছাঃ আঞ্জুমান আরা থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ দিয়ে সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরী নেন (ইনডেস্ক নং- ১১২৮৩৬৭)। দীর্ঘ ৯ বছর যাবত বেতন-ভাতাও উত্তোলন করে আসছেন।
অভিযোগের পেক্ষিতে গঠিত তদন্তে জানা যায়, মোছাঃ আঞ্জুমান আরা চাকুরী নিতে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্সের যে সনদটি দিয়েছে সে সনদটি প্রকৃতপক্ষে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছাঃ আঞ্জুমান আরার। যার রোল নং- ২০১২০১২ রেজি: নং- ১২০০০১৬ সেশন ও পাসের সন ২০১২। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই সনদপত্রটি দিয়ে চাকুরী নেয় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের শামস পাড়া এলাকার মোঃ নজির হোসেনের মেয়ে মোছাঃ আঞ্জুমান আরা।
একই ইউনিয়নের শামস পাড়া এলাকার ফারদিন হাসান ফাহিম নামে এক অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাউশি কর্তৃক তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। জাল সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১৮.১ (৪) ধারা অনুযায়ী তার বেতন ও ভাতাদি বন্ধের সুপারিশ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্রটি গত ১৩ মার্চ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।
থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহাজাহান মিয়া বলেন, ওই শিক্ষকের এমপিও সিটে তার নামের পাশে বেতন ও ভাতাদি স্থগিত করা হয়েছে উল্লেখ করে ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।