।। নিউজ ডেস্ক ।।
নাগেশ্বরীতে ঈদ উপহার হিসেবে সাড়ে ৩ হাজার হত দরিদ্র পরিবার পেয়েছে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, শাড়ি ও লুঙ্গি। ঈদের আগে এসব উপহার পেয়ে খুশি উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের উপহারভোগীরা। গত এক সপ্তাহ ধরে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি। সবশেষ শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে ওই ইউনিয়নের বড়মানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৫০০ গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসেবে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, পবিত্র ঈদে অসহায় ও গরিব-দুঃখীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আর উপহারভোগীরা বলছেন ঈদে সেমাই, চিনি কিংবা কাপড়-চোপড় কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। ঈদের আগ মুহূর্তে এসব উপহার পেয়ে আবেগে আপ্লুত তারা।
স্থানীয় বিধবা নারী জুলেখা বেওয়া জানান, তার স্বামী নেই। আয়ের কোনো পথও নেই তার। রমজান মাসে খেয়ে না খেয়ে আছেন তিনি। তার কাছে ঈদের খরচ করার মতো কোনো টাকাও ছিল না। চেয়ারম্যানের দেয়া লাচ্ছা, সেমাই, চিনি ও শাড়ি পেয়ে অনেক খুশি তিনি। কথাগুলো বলতেই চোখ দিয়ে পানি আসে তার।
একইভাবে সত্তোর্ধ এক বৃদ্ধ জমির উদ্দিন জানান, দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। বয়সের ভারে এখন আর কাজেও বের হতে পারেন না তিনি। তার এখন আয়-ইনকাম নেই। তার উপর বিভিন্ন রোগ। এই ঈদে এতগুলো উপহার পেয়ে খুশি তিনি।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি বলেন, আমার ইউনিয়নে ১৬ হাজার মানুষ রয়েছে। চরাঞ্চলীয় ইউনিয়ন হওয়ায় এই এলাকায় দরিদ্র পরিবারের সংখ্যাই বেশি। এই ইউনিয়নের গরিব-দুঃখী মানুষ ঈদে কষ্টে থাকুক তা আমি চাই না। তাই তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। তবে সবাইকে আমার একার পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি বলে আমি দুঃখিত। এরপরও আমি আমার সাধ্যমতো সাড়ে ৩ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলাম। ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা পেলে পরবর্তীতে আমি আরও ব্যাপকহারে গরিব-দুঃখীদের পাশে থাকতে পারব।