।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কিডনি রোগীরা কিডনি ফেইলিউর বা কিডনি বিকল এই দুই ধরণের রোগে ভুগে থাকেন। সাধারণত এর একটিকে হঠাৎ বা আকস্মিক কিডনি ফেইলিউর এবং অন্যটিকে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি ফেইলিউর বা ক্রনিক কিডনি রোগ বলা হয়ে থাকে। তবে এই কিডনি রোগীরা কি স্বাভাবিকভাবেই রোজা রাখতে পারবেন? উত্তরে- রোজা রাখতে পারবেন, তবে কিডনি রোগীদের এ বিষয়ে বেশকিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
সাধারণত যেসমস্ত রোগীরা কিডনি বিকল হয়ে পঞ্চম ধাপে আছেন, নিয়মিত যাদের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়, মূত্রতন্ত্রের প্রদাহের চিকিৎসা চলমান রয়েছে, আকস্মিক কিডনি বিকল রোগীদের মধ্যে যাদের কিডনির কোনো জরুরি অপারেশন করানো প্রয়োজনসহ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীদের যদি রক্তের উপাদানে কোনো জটিলতাসহ ডায়ালাইসিস রোগীদের রোজা পালন করা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
চলুন জেনে নেয়া যাক কিডনি রোগীরা রোজায় যেভাবে সতর্ক থাকবেনঃ-
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা স্টেজ ১, ২, ৩ পর্যন্ত আছেন তারা মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যেভাবে রোজা করতে পারবেন। তবে ইফতারের ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম যেমন- প্রচুর পরিমাণে পানি বা লবণ জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই ইফতারে ডাল জাতীয় যেমন ছোলা, পেঁয়াজু বা বেসন ইত্যাদি খাবার আমরা বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকি। তবে এক্ষেত্রে ডাল বা বিচি জাতীয় সব ধরণের খাবার কিডনি রোগীকে সম্পূর্ণভাবে পরিহার করে চলতে হবে এবং কিডনির অবস্থা অনুযায়ী খাবারের ব্যাপারে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের জন্য উপযোগী খাবারগুলো নির্ধারণ করতে হবে। মূলত এ ধরণের কিডনি রোগীদের ইফতারিতে দই, চিড়া এবং মুড়ি খাওয়া যেতে পারেন। এছাড়া নুডলস, সেমাই, এমনকি ভাত এবং রুটি খেতে পারেন এ ধরণের রোগীরা।
ডায়ালাইসিস রোগী
ডায়ালাইসিসের রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন কি না এ নিয়ে বেশকিছু মতবিরোধ রয়েছে। তবে ডায়ালাইসিস রোগীরাও রোজা রাখতে পারবেন, এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করার দিন রোজা রাখতে পারবেন না। এর আগের দিন বা পরের দিন নিয়মানুযায়ী রোজা রাখা যাবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডায়ালাইসিস রোগীদের খাবারদাবারের প্রতি বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। পানি কতটুকু খাবেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, লবণ বা পটাশিয়ামযুক্ত খাবার, আমিষের চাহিদা পূরণ এবং ইফতারিতে ফল হিসাবে আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি খেতে পারবেন ডায়ালাইসিসের রোগীরা। এছাড়া কাঁকরোল, পেঁপে, চিচিংগা, ধুন্দল, পটল ইত্যাদি সবজি হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে রোগীভেদে ডায়ালাইসিস রোগীর কিডনির পথ্য নির্ধারণে কিছুটা ভিন্নতা থাকে। সে বিষয়ে সুচিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবে রোজা রাখতে হবে।