।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি হলো টমেটো। রান্নার পাশাপাশি স্যালাদ হিসেবে টমেটো বেশ জনপ্রিয়। খাবারের স্বাদ বাড়াতেও টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। সাধারণত টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন নামে এক ধরণের উপাদান রয়েছে, যা শরীরের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই রোজ নিয়ম করে এই সবজি খেলে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা মিলবে সহজেই। এতেই শেষ নয়, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সবজি খেলে কোলেস্টেরল একদম নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই সঙ্গে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও বেশ কার্যকরী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুষ্টিতে ভরপুর টমেটোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট ও পটাশিয়াম। টমেটো থেকে আরও পাওয়া যায় থায়ামিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও কপার। এ ছাড়া এতে আছে ফাইবার ও অনেকটা পানি। টমেটো খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে টমেটো খাওয়ার বেশকিছু নিয়ম রয়েছে যা অনেকেই হয়তো সঠিকভাবে জানেন না। তরকারি করে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। এছাড়া টমেটো খাওয়ার আরও কিছু নিয়ম রয়েছে, চলুন জেনে নেয়া যাকঃ-
স্যালাদ করে: স্যালাদে পেঁয়াজ, শসার পাশাপাশি চেরি টমেটো ব্যবহার করা ভালো। নুন-গোলমরিচের গুঁড়োর সঙ্গে ফেটা চিজ ছড়িয়ে দিতে পারেন। পাশাপাশি অলিভ অয়েল ও লেবুর রস কিছুটা যুক্ত করে স্যালাদের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
টমেটোর ওমলেট: টমেটোর সঙ্গে স্পিং অনিয়ন, মাশরুম, চিজ একত্রিত করে ডিম ভাজার সময় ভালো করে ছড়িয়ে রসালো ও সুস্বাদু ওমলেট তৈরি করতে পারেন। যা খেলে সঠিক পুষ্টি পাওয়া যাবে।
টমেটো জুস: টমেটোর উপকারিতা পেতে জুস করে খাওয়া যেতে পারে। নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো টমেটোর জুসে মিশিয়ে সুস্বাদু করে তুলতে পারেন টমেটোর জুস। এই জুস খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং শরীরে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে।
টমেটো স্যুপ: সর্দি-কাশি কিংবা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে টমেটোর স্যুপ বেশ কার্যকরী। তাই টমেটোর স্যুপ বানানোর সময় চিকেনের স্টক, কিছুটা মাখন, নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো সমন্বয় করে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু এই স্যুপ।
সূত্র: টিভি নাইন বাংলা।