।। টেক ডেস্ক ।।
বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটা প্রত্যেকের কাছে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত জীবনে মার্কেট বা শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটার সময় বাঁচাতে কিংবা দামাদামি ও ঘোরাঘুরির শ্রম থেকে বাঁচতে অনলাইন কেনাকাটাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন অনেকেই। তবে অনলাইনে কেনাকাটার অভিজ্ঞতা সবার ক্ষেত্রে সমান নয়, অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হন আবার অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্য মেলে না এমনকি অগ্রিম টাকা পরিশোধ করার পরও পণ্য মিলছে না হাতে। তাই অনলাইনে পণ্য অর্ডার করার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।
চলুন জেনে নেয়া যাক অনলাইন কেনাকাটায় যে বিষয়ে ভুল করা যাবে নাঃ-
ডিসকাউন্ট বা অফারের পণ্য কেনার সময় সতর্ক থেকে কিনতে হবে। কারণ অফারের পণ্যের গুণগত মান ততটা ভালো হয় না। আবার নকল পণ্যও পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ওয়েবসাইট বা পেজ থেকে পণ্য কিনতে সেটি ভালো কি না তা যাচাই করে নিতে হবে। এ রকম অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে প্রবেশের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়। তাই যাচাই করে নেয়াটা প্রয়োজন।
অনেক সময় ছবি ও বাস্তব পণ্যের মিল পাওয়া যায় না, তাই পণ্য কেনার আগে পোশাকের রং, কাপড়ের কোয়ালিটি, সাইজ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে তারপর অনলাইনে অর্ডার করবেন।
যে কোম্পানি বা পেজ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী প্রথমে ওই কোম্পানি বা পেজের সুনাম বা রিভিউ দেখে সঠিক মনে হলে তবেই পণ্য কিনতে উদগ্রীব হবেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উৎসব উপলক্ষে চটকদার বিজ্ঞাপন অনলাইনে প্রচার করে থাকে। যা দেখে অনেকেই নির্দিষ্ট পণ্য কিনলেও তা সঠিক পান না। ‘এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য’ ‘ডেলিভারি চার্জ ফ্রি’ কিংবা ‘একটি কিনলে ২টি ফ্রি’ এ রকম অনেক মাধ্যম ব্যবহার করে ক্রেতাকে আরও আকৃষ্ট করে তোলে। তাই বিবেচনা করে পণ্য কেনার চেষ্টা করুন।
অনেক ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ ক্রেতার কাছ থেকে অগ্রিম টাকা চেয়ে বসে, সেখান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারেন।
নিজের ব্যক্তিগত তথ্য যেকোনো ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানে দেয়ার আগে তা নকল কি না যাচাই করুন। কেননা, প্রচারকচক্র বিখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ওয়েবসাইটের সবকিছু নকল করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ঠিকানা ‘https:’ দিয়ে শুরু হচ্ছে নাকি ‘http:’ তা ভালো ভাবে দেখে নিন। যদি প্রথমটি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি সুরক্ষিত নয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন অফারের পপআপ, ই-মেইলে পাওয়া কোনো ফিশিং লিংক কিংবা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এর ফলে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ফোন হ্যাক করে বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নিতে পারে।