।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারীতে ডিগ্রিরচর চুলকানির খাল (হলহলিয়া নদীর মুখে) বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ৩৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রৌমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাটি ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর চুলকানির খাল নামক এলাকায় হলহলিয়া নদীর মুখে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ভরাটের চুক্তিবদ্ধ হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলীর সঙ্গে। এতে ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মাটি ভরাট কাজের মেয়াদ বেঁধে দেওয়া হয়। এ সময় চেয়ারম্যানকে জামানত হিসেবেও দেওয়া হয় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে চারটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে স্বাক্ষরিত এস্টিমেট অনুযায়ী ১ হাজার ৬৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের বেড়িবাঁধে ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৮৪ মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। যার প্রতি হাজার মাটির দাম ৩ হাজার টাকা। এই হিসেবে মোট মাটির দাম হয় ৪৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৫২ টাকা। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪৬ টাকা হাতে পেয়েছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাকি রয়েছে জামানতসহ ৩৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৬ টাকা। এ টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও টাকা দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলী।
তিনি আরও বলেন, বাড়ির গরু-ছাগল বিক্রিসহ ধার-দেনা করে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ করেছেন। বাঁধ নির্মাণ কাজের পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলীর জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের কোনো টাকা তারা পান না এবং তাদের সঙ্গে আমার কোনো চুক্তিও হয়নি। আমি বাঁধ নির্মাণে সহযোগিতা করেছি মাত্র।
ডিগ্রিরচর চুলকানির খাল বাঁধ সংস্কার প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ‘গ্রামীণ অবকাঠোমো সংস্কার’ (কাবিটা) প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে মাটি ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান কি করেছেন তা জানেন না তিনি। তিনি আরও বলেন, বাঁধ নির্মাণ কমিটি নিজের মতো করে গঠন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
//নিউজ/রৌমারী//সুজন-মাহমুদ/মার্চ/২৪/২৪