।। টেক ডেস্ক ।।
হানি ট্র্যাপ মূলত এক ধরণের অপকৌশল প্রথা। সহজভাবে বলতে গেলে একে ‘ভালোবাসার ফাঁদ’ নামে অভিহিত করা যেতে পারে। ফেসবুকে বন্ধুত্ব ও কথোপকথন, ভিডিও কলে ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতা এবং সেই আলাপচারিতার ভিডিও চিত্র সম্পাদনা করে বা যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে ধনাঢ্য ও খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নানাভাবে প্রতারণা এবং দীর্ঘমেয়াদে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে ধারাবাহিকভাবে এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন সুন্দরী নারীরা।
বিশ্বের মধ্যে এমন অপরাধের ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এমন প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। তবে হানি ট্র্যাপ ফাঁদের সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশে। মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে ভারতীয় সুন্দরী তরুণীরা বাংলাদেশিদের হানি ট্র্যাপের মতো ‘মধু ফাঁদে’ ফেলছেন। বড় ব্যবসায়ী, পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সাংবাদিক কিংবা শিল্পীরা এ ফাঁদে পা দিয়ে খুইয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশে মূলত দুটি উপায় অবলম্বন করে হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে সমাজের প্রতিষ্ঠিতদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে একটি চক্র বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল এবং ভারতের প্রতারক চক্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে কাজ করে থাকে। তাছাড়া অপর অংশ সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রতারক চক্রের দ্বারা পরিচালিত হয়। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় প্রতারণার নতুন কৌশল হিসেবে হানি ট্র্যাপের নামে ভুয়া মেইল পাঠিয়ে থাকে প্রতারক চক্র।
হানি ট্র্যাপের শিকার হলে যা করবেন
যদি কেউ হানি ট্র্যাপের মতো ঘটনার শিকার হন, তাহলে ভয় না পেয়ে পুলিশের সাইবার ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নিতে হবে। সেই সঙ্গে অপরিচিত কারও সাথে ব্যক্তিগত আলাপ বা ভিডিও কলে কথোপকথন থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া আইনি সহায়তা হিসেবে একজন হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়া ভুক্তভোগী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।