।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরের ধামশ্রেণী ইউনিয়নের নাওড়াগ্রাম যাওয়ার রাস্তাটি প্রায় ২৪ বছর আগে পাকাকরণ করা হয়। সে সময় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কিছুটা কমলেও রাস্তাটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের। বার বার ক্ষমতার পালাবদল হলেও নজর পড়েনি কোনো জনপ্রতিনিধির। ফলে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারীসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, চিলমারী-কুড়িগ্রাম (ডিসি ফিফটি) সড়কে উপজেলার ধামশ্রেণী এলাকার বটেরতল থেকে নাওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ২০০১ সালের দিকে পাকাকরণ করা হয়। এর কয়েক বছর পরই কার্পেটিং উঠে গিয়ে ভেতরের খোয়া বেরিয়ে আসে। এ ছাড়া কয়েকদফা বন্যায় রাস্তাটি ধসে গিয়ে বিভিন্নস্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
এলাকাবাসী জানায়, রাস্তাটি দিয়ে বাশঁবাড়ি, কুঠিরপাড়, মধ্য নাওড়া, পশ্চিম নাওড়া, মলাতিপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। এ ছাড়া নাওড়া নাছিরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও পশ্চিম নাওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী এই পথ দিয়ে চলাচল করে। শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করা সম্ভব হলেও বর্ষায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
ওই এলাকার তরিকুল ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম, ধলাচাঁদ বর্মণসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, কাঁচা রাস্তা পাকা হয় এটা দেখছি, কিন্তু পাকা রাস্তা কাঁচা হয় এটা না দেখলে জানতাম না। কয়েকটি গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের জন্য রাস্তাটি কখনও সংস্কার করা হয়নি।
অটোরিকশা চালক সেতু চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু এমন রাস্তা কোথাও দেখিনি। গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে বের হতে মন চায় না।
শিক্ষার্থী আশা মনি, সুমাইয়া খাতুন, জান্নাতুল মাওয়া বলেন, প্রতিদিন মাদ্রাসা যাই হাঁটতে খুব কষ্ট হয়। রাস্তাটি ভালো হলে চলাচল করতে সুবিধা হবে।
ধামশ্রেণী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি অনেক আগের। রাস্তাটির আইডি ছিল না, নতুন করে আইডি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আইডি হয়ে আসলে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী কে.কে.এম সাদেকুল আলম বলেন, রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ, দ্রুত সেটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/মার্চ/১৯/২৪