।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
মানবদেহের রক্তে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ দায়ী হতে পারে। তবে অনেকই আছেন যারা কারণে-অকারণে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে থাকেন। এসব ওষুধের মধ্যে কিছু ওষুধ রয়েছে যা ডাইরেক্টএক্স রক্তে লবণের স্বল্পতা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া হার্ট বা কিডনির সমস্যায় ও পায়ে পানি এলে রোগীকে অনেক সময় এ জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়। আবার কিছু কিছু মানসিক রোগের ওষুধ, করটিসল হরমোনের অভাব এমনকি রক্তে থাইরয়েডের অভাব হলেও দেখা দিতে পারে লবণের ঘাটতির মতো সমস্যা।
ঢাকা স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট মেডিসিন বিভাগের ডা. তাসনোভা মাহিন বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড, বাইকার্বনেট, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ লবণের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বরাবরের মতো বমি, পাতলা পায়খানা ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ছাড়াও ইনফেকশনের মতো ঘটনা বা নিউমোনিয়াতেও রক্তে লবণের ঘাটতির সম্ভাবনা রয়েছে।
জেনে নিন রক্তে লবণের পরিমাণ কমে গেলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারেঃ-
★ পেশিতে টান ও পেশির অসাড়তা
★ খিঁচুনি
★ দুর্বলতা
★ ক্ষুধামান্দ্য
★ বমি বমি ভাব
★ স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
★ হার্টের সমস্যা
★ তন্দ্রাচ্ছন্নতা
★ উল্টোপাল্টা আচরণ
করণীয়
রক্তে লবণ কমে যাওয়ার সমস্যা যদি বারবার হতে দেখা যায়, তাহলে কাল বিলম্ব না করে একজন সুচিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। তবে এই সমস্যা যদি মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লবণের ঘাটতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিরাপথে স্যালাইন যোগে বা অন্যান্য চিকিৎসা গ্রহণ করে তা পূরণ করতে হবে। এ সময় বারবার রক্ত পরীক্ষা করা লাগতে পারে যা স্বাভাবিক।