।। নিউজ ডেস্ক ।।
বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন তাদের ধ্বংসলীলাগুলো। তারা শুরু থেকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। রক্তের গঙ্গা বইয়ে দিয়েছে দলের উপর। সেই জায়গায় তারা সবসময় জনগণের চিন্তা করে না। চিন্তা করে কিভাবে ক্ষমতায় আসবে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য আমাদের একটা গঠনতন্ত্র রয়েছে এই ধারাকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণের চিন্তা করছেন, জনগণকে আরও কিভাবে সম্পৃক্ত করবেন, দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তার চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কি বললো আমাদের মুখ্য বিষয় না। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো আমাদের জনগণকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো, আমরা আমাদের গণতন্ত্রেন চর্চাটা আরও কিভাবে সুন্দর করবো এগুলো আমাদের বিষয়।
এছাড়াও তিনি আরও জেলা লেভেলে মানীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নৌকা প্রতিক থাকবে না। যে পারে সে নির্বাচন করবে স্থানীয় সরকারে। তাই আমরা মনে করি আমাদের দেশে যদি গণতন্ত্রের চর্চা না হয় যারা বলেন গণতন্ত্রের চর্চা নাই তাদের দেশে কতখানি আছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
স্বরাস্ট্রমন্ত্রী মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য, জনপ্রতিনিধি এবং সেবনকারীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার ব্যাপার বলেন, ‘এই বিষয়ে বিধিমালা করা হচ্ছে। মাদক যে ভয়ংকর নেশা। আমাদের নতুন প্রজন্মকে যদি রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের স্বপ্নটা অনেক দূরে চলে যাবে।’
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের আয়োজনে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আলোচনা সভায় যোগ দেন।
এসময় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি ডা: হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি সৌমন্দ্রে প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সক্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু প্রমুখ। সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জেলা লেভেলে মানীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নৌকা প্রতীক থাকবে না। যে পারে সে নির্বাচন করবে স্থানীয় সরকারে।
কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট ও রৌমারী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইমিগ্রেশন চালু করতে দু’দেশের বর্ডার স্টেশনগুলোর পারমিশন লাগে। ভারতের বিএসএফর চীফ আমাদের দেশে আছেন। তিনিও বিষয়টি জানেন। আমাদের বিজিবি এনিয়ে আলোচনা করেছেন। আমাদের সচীব মহোদয়ও এখানে আছেন। তিনিও জানিয়েছেন এটা নিয়ে কাজ চলছে। ভারত-বাংলাদেশ একমত হয়ে শীঘ্রই এটা চালু করতে যাচ্ছি।’
কুড়িগ্রামে সমাবেশ শেষে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সড়কপথে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে তিনি লোকসঙ্গীত উৎসবের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন।