।। টেক ডেস্ক ।।
আধুনিক বিশ্বায়ন ব্যবস্থায় বিগত সময়ে নিয়ে আসা কিউআর কোডের ব্যবহার বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে যেন একটি প্রচলিত শব্দ। কিন্তু এবার এই প্রথাকেই কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা ঘটাচ্ছে নানা ধরণের অপকর্ম। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারক চক্র ভুয়া কিউআর কোড পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অত্যন্ত সুনিপুনভাবে চুরি করে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা এমনকি ব্যবহারকারীর অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটাচ্ছেন তারা।
কিউআর কোড চলমান হওয়ার পর থেকে ব্যবহারকারীরা স্ক্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকেন। আর তাই সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহারকারীদের এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা ব্যাংক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া কিউআর কোড তৈরি করে পাঠিয়ে থাকেন। একই সাথে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করে তুলতে বিভিন্ন ধরণের প্রলোভন প্রথাও অবলম্বন করছেন তারা। কিন্তু এসব পাঠানো ভুয়া কিউআর কোডে যদি কোনো ব্যবহারকারী ভুলক্রমে স্ক্যান করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ম্যালওয়্যারযুক্ত ওয়েবসাইট চালু হবে এবং অজান্তেই ডিভাইসের মধ্যে চেপে বসবে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার। পরে এই ম্যালওয়্যারের সহায়তায় ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে সাইবার হামলার মতো বিভিন্ন প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালাতে শুরু করবে সাইবার অপরাধী। এতে বাদ পড়বে না অর্থ চুরির মতো ঘটনাও।
ফিশিং হামলার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নামকরণ করা সাইবার হামলা ‘কুইশিংয়ের কবল থেকে বাঁচতে ব্যবহারকারীদের কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় সতর্ক থাকতে বলছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও অপরিচিত বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাঠানো কিউআর কোড এবং বিভিন্ন ব্যাংক/প্রতিষ্ঠানের নামে তৈরি ভুয়া কিউআর কোড বা ই-মেইলসহ বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের প্রলোভন দেখানো কিউআর কোড থেকে দূরে থাকতে সতর্কতা অবলম্বনে বিশেষ নজরদারির কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।