।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
যাদের এক বা দুই দিন পরপর মলত্যাগ হয় এবং মল নিষ্কাশনের সময় শুষ্ক ও কঠিন হয় সাধারণত তারাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন। জীবনের যেকোনো মুহূর্তেই হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। তবে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালে এ রোগের প্রবণতা সর্বাধিক থাকে বলে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হওয়ার পেছনে কারণ কী? সাধারণত অপর্যাপ্ত পানি পান, মানসিক চাপ, খাবারে আঁশের পরিমাণ কম, কায়িক শ্রম না করা, অনিদ্রা, ভাজাপোড়া ও ফাস্ট ফুড বেশি বেশি খাওয়া, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পায়খানা পরিষ্কার না হওয়া, হজমে ব্যাঘাতের মতো একাধিক সমস্যা থাকার কারণে হয়ে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য।
এছাড়া মৌসুমি ফল না খাওয়া, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ব্যথানাশক ওষুধ খেলে এমনকি থাইরয়েড বা কোলনের সমস্যা থেকেও দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের অসুখ। তবে এ ধরণের সমস্যা শুধু যে কোষ্ঠকাঠিন্য তা নয়, অন্য কোনো রোগের লক্ষণ থেকেও হতে পারে।
ডাক্তারদের মতে, কেউ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরও প্রতি সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানায় যায় তখনই এই অবস্থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এ অবস্থায় পায়খানায় দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও মল পরিষ্কার হয় না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণঃ-
⇛ দীর্ঘক্ষণ বাথরুমে বসে থাকা
⇛ শুষ্ক ও কঠিন মল হওয়া
⇛ পেট ফোলাভাব ও তলপেটে ব্যথা অনুভব হওয়া
⇛ পায়খানা করার পরেও পেট ভারী মনে হয়
⇛ পাকস্থলী ও অন্ত্রের ব্যথা
⇛ জোর দেয়ার পরেও মল নিঃসরণ না হওয়া
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে পরিবর্তন
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আঁশ, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় খাবার যেমন- আঙুর, কিউয়ি, নাশপাতি, আপেল, পাকা কলা, পাকা পেঁপে, বেলের শরবত ও অ্যালোভেরা জুস অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়ার অন্যতম একটি কারণ শরীরে পানি কমে গেলে, তাই তরমুজ ও পর্যাপ্ত পানি পান করা দরকার। মৌসুমি শাক-সবজি, টক দই, তোকমা দানা, ইসবগুলের ভুসি বা চিয়া সিড ও খাবারে পান্তা রেখেও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করা সম্ভব। তবে আয়রন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ সেবনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সুচিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।